বাংলাহান্ট ডেস্ক: বয়স মাত্র ১০। এর মধ্যেই জীবনযুদ্ধ অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে সীমার (Sima) কাছে। দুর্ঘটনায় একটা পা খোয়া গিয়েছে। কিন্তু সমাজের লাগিয়ে দেওয়া ‘প্রতিবন্ধী’ তকমা নিয়ে বেঁচে থাকতে রাজি নয় সে। তাই একটা পা নিয়েই রোজ স্কুলে যায় সীমা। তাও আবার ৫০০ মিটার রাস্তা এক পায়ে হেঁটে!
সীমার অদম্য ইচ্ছাশক্তির গল্প নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। ভিডিওটি (Viral Video) নজর কেড়েছে অভিনেতা সোনু সূদের (Sonu Sood)। করোনা কালে পরিযায়ী শ্রমিক ও অসহায় মানুষের দেবদূত হয়ে ওঠা সোনুর মন ছুঁয়ে গিয়েছে সীমার লড়াই। আর তাই লড়াকু মেয়েটার পাশে দাঁড়িয়ে এক দারুন ঘোষনা করলেন অভিনেতা।
সীমার একটি ভিডিও টুইট করেছেন সোনু। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্কুলের পোশাক পরে এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলের পথে চলেছে সীমা। পিঠে ব্যাগ, কিন্তু পায়ে কোনো জুতো নেই। ভিডিওটি শেয়ার করে সোনু লিখেছেন, ‘এবার একটা পায়ে না, দু পায়ে লাফিয়ে স্কুলে যাবে। টিকিট পাঠাচ্ছি। চলুন দু পায়ে হাঁটার সময় এসে গিয়েছে।’
अब यह अपने एक नहीं दोनो पैरों पर क़ूद कर स्कूल जाएगी।
टिकट भेज रहा हूँ, चलिए दोनो पैरों पर चलने का समय आ गया। @SoodFoundation 🇮🇳 https://t.co/0d56m9jMuA— sonu sood (@SonuSood) May 25, 2022
বিহারের জামুই জেলার বাসিন্দা সীমা। দশ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় একটা পা হারিয়েছে সে। কিন্তু দরিদ্র পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর দশা। সীমার বাবা শ্রমিকের কাজ করেন। থাকেন অন্য রাজ্যে। সীমাকে নিয়ে পাঁচ ভাই বোনের সংসার। এমতাবস্থায় কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করা এক রকম ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতোই ছিল।
তবুও পড়াশোনা বন্ধ করেনি সীমা। তার একটা স্বপ্ন আছে বটে। শিক্ষিকা হতে চায় সে। বাবা মা শিক্ষার আলো পাননি। কিন্তু মেয়ে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠুক সেটাই চান তাঁরা। ফতেপুর গ্রামের সরকারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে সীমা। বাড়ি থেকে স্কুল পর্যন্ত রাস্তা প্রতিদিন এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়েই পাড়ি দেয় সে। ভবিষ্যতে দরিদ্র বাবা মায়ের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা সীমার। এবার তার লড়াইয়ে সামিল হলেন সোনু সূদও।