বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ডবল ডবল সাফল্য পেলেন বঙ্গ পর্বতারোহী পিয়ালী বসাক। কিছুদিন আগেই অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট জয়ের পর শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। এবার লোৎসের শিখর ছুঁয়ে নজির গড়লেন চন্দননগরের গর্ব পিয়ালী। মেয়ের এই কীর্তির খবর মঙ্গলবার রাতে এসে পৌঁছয় হুগলিতে তাঁর পরিবারের কাছে। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী আপাতত বেস ক্যাম্পের দিকে এগোচ্ছেন পিয়ালীরা। তার এইরকম সাফল্যে খুবই খুশি বঙ্গের পর্বতারোহীরা।
তাঁর এই বিরল কৃতিত্বে স্বভাবতই বইছে খুশির জোয়ার। কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই তার এভারেস্ট জয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়েছিল বাংলার অন্যান্য পর্বতারোহীরা। মূলত, অক্সিজেন ছাড়া পিয়ালির এভারেস্ট জয়ের বিষয়টিকে কার্যত “অভাবনীয়” মনে করেছেন বিশিষ্ট পর্বতারোহী বসন্ত সিংহ রায়। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি ভাবতেই পারছি না এটা সম্ভব। একজন ভারতীয় মহিলা পর্বতারোহী যা করেছেন, তা অসাধ্য সাধন ছাড়া কিছুই নয়।” এখন তার এই নতুন সাফল্যেও খুশি সকলে।
এর আগে বাংলার বিখ্যাত মহিলা পর্বতারোহী ছন্দা গায়েন এভারেস্ট জয়ের পর লোৎসে জয় করতে গিয়ে ব্লিজার্ডের শিকার হয়ে চিরকালের মতো হারিয়ে গিয়েছিলেন। লোৎসের আরোহণ পথ খুবই দুর্গম। কিন্তু আবহাওয়া ভালো হওয়ায় পিয়ালী আর দ্বিতীয়বার ভাবেননি নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে। পিয়ালীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে লোৎসে অভিযানে বেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সকালে শৃঙ্গে উঠতে সফল হয়েছেন পিয়ালি। লোৎসে হলো বিশ্বের চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ। তবে এই সাফল্যের খবরের মাঝেও পিয়ালীর পরিবারের চিন্তা পর্বতারোহণের দেনা নিয়ে।
এর আগে সাহায্য করেছিলেন একাধিক শুভানুধ্যায়ী। ফলে জোগাড় হয়েছিল অভিযানের খরচ। হয়েছিল শৃঙ্গজয়। কিন্তু ১২ লক্ষ টাকা দেনা বাকি রয়েছে যা না মেটালে পাওয়া যাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গর পাশাপাশি লোৎসে জয়ের শংসাপত্রও। তাই এখন চিন্তায় ঘুম উঠেছে পিয়ালী বসাকের পরিবারের। ফলে আক্ষেপ ঝরে পড়ছে সদ্য পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গজয়ী পিয়ালী বসাকের মা স্বপ্না বসাকের গলাতেও।