আধপেটা খেয়েই মালয়েশিয়া থেকে পদক আনার স্বপ্ন দেখছেন তারকেশ্বরের বুল্টি

 বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: স্বামী সামান্য ট্রেনের হকার, বাড়িতে রয়েছে দুই সন্তান, প্রত্যেকদিন হয়তো ভরপেট খাওয়াও জোটে না। কিন্তু তারকেশ্বরের বুল্টির মনের জোর ভাঙতে পারেনি এই সমস্যাগুলি। তামিলনাড়ুতে সদ্যসমাপ্ত একটি জাতীয় স্তরের অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকটি পদক জয় করেছেন বুল্টি। এরপরে আন্তর্জাতিক স্তরে মালয়েশিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা রয়েছে বুল্টির সামনে৷ কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে সেখানে অংশগ্রহণ করা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন এই তারকেশ্বর পৌরসভা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয় কৃষ্ণবাজার এলাকার এই অনামি জিমন্যাস্ট।

আপাতত তারকেশ্বরে একটি টালির বাড়িতেই থাকেন বুল্টি, তার স্বামী ও দুই বাচ্চা। তাও বাড়িটি তাদের নিজের নয়, ভাঁড়া নিয়ে থাকছেন তারা। স্বামীর রোজগারে সংসার ভালোমতো চলে না, মালয়েশিয়া যাওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার। তার স্বামী সন্তোষ রায়ই একমাত্র তাঁদের পরিবারের উপার্জনকারী। ছোট দুই ছেলে-মেয়ে সরকারি স্কুলে পড়ে। স্বামী তার জিমন্যাস্টিকের কেরিয়ারে বাঁধা না দিলেও তিনি যা উপার্জন করেন তাতে বুল্টির অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহন করা খুবই কষ্টসাধ্য।

জানা গিয়েছে বুল্টির মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটিতে যোগদান করতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার কাছাকাছি প্রয়োজন যা হয়তো সন্তোষের বার্ষিক রোজগারই নয়। কিছু বেসরকারি সংস্থা বুল্টির পাশে দাঁড়ালেও একাধিক জিনিসের অভাব রয়েছে এখনও। নেই কোনও প্রশিক্ষণের সরঞ্জাম।

এর আগে ট্রেনিং নিতে ছোটবেলায় এক কোচের কাছে ভর্তি হলেও আর্থিক বাঁধার কারণে এই মুহূর্তে তার কোনও কোচ নেই। অনুশীলনের জন্য নেই প্রয়োজনীয় পোশাক বা ভালো জুতো। একজন অ্যাথলিটের যে প্রয়োজনীয় খাদ্য দরকার তার কিছুই পান না তিনি। এইসব সমস্যার মধ্যেও এখনো বুল্টির ইচ্ছাশক্তিতে মরচে ধরেনি। অপেক্ষায় রয়েছেন সহৃদয় কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার যারা তার ওপর ভরসা করে তার পাশে দাঁড়াতে পারবেন। নয়তো যে সব স্বপ্ন জলে যাবে।

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর