বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পয়গম্বর বিতর্কে ভারতবর্ষের একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভের ফলে পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে উঠেছে। বিতর্কের সেই আঁচ এসে পড়েছে বাংলায়। বিগত দু’দিন ধরে বাংলার একাধিক প্রান্তে বিশেষত হাওড়া এবং কলকাতায় একাধিক হিংসার ঘটনা সামনে উঠে এসেছে। বিক্ষোভ, ভাঙচুর, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা এবং ইটবৃষ্টির মতো একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে কিছু সম্প্রদায়ের মানুষ আর এবার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ময়দানে নামল বাংলার পুলিশ। ইতিমধ্যে হিংসার সঙ্গে জড়িত 70 জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। পরবর্তী ক্ষেত্রেও যে এহেন অহিংসার ঘটনা ঘটলে তার ফল ভালো হবে না, সে বিষয়ে সচেতন করেছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা বিতর্কিত মন্তব্যের পর দেশের একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিজেপি মুখপাত্রর গ্রেফতারের দাবি করে বাংলার একাধিক প্রান্ত, কলকাতা ও হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলায় অবরোধ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভের জেরে স্তব্ধ হয়ে পড়ে যাতায়াত। একাধিক গাড়ি লক্ষ্য করে আগুন, দোকানপাট ভাঙচুর চালানোর ফলে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। গতকাল এই বিক্ষোভ মাঝে অবশেষে বিভিন্ন স্থানে 144 ধারা জারি করার পাশাপাশি হাওড়া জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে প্রশাসন। তবে এর মধ্যেও হাওড়ার সলপ, ধুলাগর এবং পার্ক সার্কাসের মত এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বসে বিক্ষোভকারীরা। এছাড়াও বর্ধমান এবং অঙ্কুরহাটিতে দীর্ঘক্ষণ চলে আন্দোলন।
তবে শুধু রাস্তাঘাট নয়, এই আন্দোলনের প্রভাব পড়ে রেল মাধ্যমেও। গতকাল হাওড়া স্টেশনে বেশ কয়েক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক ট্রেন। শনিবারেও টাটানগর-হাওড়া ইস্পাত এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস ও ভদ্রক হাওড়া এক্সপ্রেসের মত ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য একাধিক ট্রেনের সময়সূচী বদল করেছে ভারতীয় রেল। তবে এই বিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামবে, সেই বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নয় কেউই।