বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুরু হতে না হতেই একের পর এক অভিযোগ সারেগামাপার (SaReGaMaPa) নতুন সিজন নিয়ে। মহা অডিশন পর্ব শেষ হয়ে সবেমাত্র মূল প্রতিযোগিতায় ঢুকেছে শো। নিজের নিজের প্রতিভা দেখানো শুরু করে সবে প্রতিযোগীরা। এর মধ্যেই আবার শোরগোল জুড়ে দিলেন দর্শকদের একাংশ। অভিযোগের তীর সেই বিচারকদের দিকে।
প্রতিযোগীদের নাকি গান গাইতেই দেওয়া হচ্ছে না। গান ঠিক মতো শেষ হওয়ার আগেই বিচারকের আসন থেকে কেউ না কেউ আরেকটি গান শুরু করে দিচ্ছেন। তারপর দল বেঁধে চলে আসছেন মঞ্চে। মাঝে পড়ে যে প্রতিযোগী এত ভাল গাইলে তার গানটাই চাপা পড়ে যাচ্ছে। সারেগামাপার সাম্প্রতিক পর্ব দেখে এমন ভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কিছু দর্শক।
তাদের অভিযোগটা মূলত বিচারকদের নিয়ে। প্রতিযোগীতাটা কাদের মধ্যে হচ্ছে সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। কারণ কোনো প্রতিযোগী ভাল গাইলেই তার গানের পর দল বেঁধে মঞ্চে এসে নিজেরা গান জুড়ে দিচ্ছেন বিচারকরা। একজনের গান শেষ হতে না হতেই আরেকজন শুরু করে দিচ্ছেন। যেন দেখনদারির লড়াই।
কারোর কটাক্ষ, এই বিচারকদের মধ্যে কেউ কেউ আবার থামতেই চাইছেন না। বাংলায় বাজার তৈরি করার চেষ্টায় অনুষ্ঠানটার বারোটা বাজাচ্ছেন, মত কয়েকজনের। নিন্দা হয়েছে সারেগামাপার অন্যতম গুরু রথীজিৎ ভট্টাচার্যকে নিয়েও। কিছু দর্শকের অভিযোগ, তিনি গানের মধ্যে অযথা অন্য গান আর বাজনার কেরামতি ঢুকিয়ে বিগড়ে দিচ্ছেন। এভাবে তো অনেকেই আর ডি বর্মন হয়ে যেত!
গত বার সারেগামাপায় অর্কজিৎ মিশ্র বিজয়ী হওয়ায় চরম সমালোচিত হয়েছিলেন ইমন। অভিযোগ উঠেছিল, তিনি নাকি নিজের গুরুভাইকে ইচ্ছা করে জিতিয়ে দিয়েছেন। এবারে সেই একই অভিযোগে অভিযুক্ত মনোময় ভট্টাচার্য এবং রাঘব চট্টোপাধ্যায়। নিজেদের শিক্ষার্থীদের নাকি তাঁরা শো তে ঢুকিয়ে দিয়ে নিজেদের গান গাওয়াচ্ছেন, উঠেছে এমন অভিযোগও।
বিশেষ করে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এমন একজন গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বকে এখানে এনে অপমান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পণ্ডিতজির নাকি স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগই নেই। অন্য বিচারকদের কথা মতোই তাঁকে ভাল ভাল বলতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবারের সারেগামাপা শুরু থেকেই চর্চায়।