অনন্য ঘটনা! রিকশাচালকের ক্যানসার আক্রান্ত ১২ বছরের ছেলেকে করা হল একদিনের ADG

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মারণ রোগ বাসা বেঁধেছে ১২ বছরের বালকের শরীরে! পাশাপাশি, বাড়ির আর্থিক অবস্থাও ভালো নয় তাঁর। এমতাবস্থায়, এক অনন্য সিদ্ধান্ত নিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের এডিজি। শুধু তাই নয়, গোটা একদিনের জন্য এডিজির পদও দিয়ে দেওয়া হল ওই বালককে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই চারিদিকে বইছে প্রশংসার ঝড়।

জানা গিয়েছে, ১২ বছরের হর্ষ দুবে বোন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, তার বাবা ই-রিকশা চালান। এই পরিস্থিতিতে হর্ষকে এই মারণ রোগের সাথে লড়াইয়ে উৎসাহিত করতে প্রয়াগরাজের এডিজি প্রেম প্রকাশ তাকে একদিনের জন্য এডিজি করার সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, ওই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে তা ভালোভাবে পালনও করে হর্ষ। সর্বোপরি, একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে সে একাধিক ফাইলে স্বাক্ষর করে বলেও জানা যায়।

   

এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ওই শহরের স্বনামধন্য ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও হর্ষের বিনামূল্যের চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমলা নেহেরু হাসপাতালের পদ্মশ্রী সম্মানিত চিকিৎসক বি পালও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডক্টর বিশাল কেওলানি ও ডক্টর রাধা রানী ঘোষ।

এই প্রসঙ্গে এডিজি প্রেম প্রকাশ জানিয়েছেন, তিনি শহরের প্রখ্যাত সমাজকর্মী পঙ্কজ রিজওয়ানির মাধ্যমে হর্ষ সম্পর্কে জানতে পারেন। পাশাপাশি, তিনি বুঝতে পারেন যে, হর্ষের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। এমতাবস্থায়, তিনি হর্ষকে উৎসাহিত করার জন্য এমন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে অসুস্থ হর্ষ আনন্দ পায়।

সেই কারণেই, তিনি এই অভিনব উদ্যোগ নেন। এমনকি, হর্ষের হাতে কমান্ড দেওয়ার পর একদল পুলিশ তাকে স্যালুট জানায়। শুধু তাই নয়, ওয়ারলেসের মাধ্যমে জেলার পুলিশকর্মীদের নির্দেশও দেয় হর্ষ। তাকে এডিজির টুপি পরে অফিসে কাজ করতে দেখা যায়।

এমতাবস্থায়, সারাদিন কাজ করার পর ওই বালককে একটি সরকারি গাড়িতে করে তার বাড়িতে নামিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে, এই সম্মান পেয়ে হর্ষও অত্যন্ত আপ্লুত হয়েছে। একই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও এই মারণ রোগের চিকিৎসায় আশার আলো দেখতে পেয়েছেন। পাশাপাশি, হর্ষের বাবা সবাইকে ধন্যবাদ জানান। জানা গিয়েছে, হর্ষ এখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

এদিকে, এই পুরো ঘটনা ADG Zone Prayagraj-এর তরফে তাদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়। যেখানে এই বিষয়টির অবতারণাও করা হয়েছে। এদিকে, এই পোস্ট মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, এটি দেখে নেটিজেনরা তাঁদের প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর