বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, পয়গম্বর বিতর্কে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন করার অপরাধে কানহাইয়া লাল নামে রাজস্থানের বছর চল্লিশের এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে খুন করে দুই দুষ্কৃতী। পরবর্তীকালে মূল দুই অভিযুক্ত রিয়াজ এবং গাউস মোহাম্মদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একইসঙ্গে তাদের দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে তারা এনআইএ হেফাজতে রয়েছে। তবে এর মাঝেই তাদের একটি চিন্তা ক্রমশ খেয়ে চলেছে। এনআইএ সূত্রের খবর, বারংবার তারা একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে চলেছে এবং তা হলো, “আদালত কি আমাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেবে নাকি ফাঁসির আদেশ দেওয়া হবে।”
স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে, যতদিন অগ্রসর হয়ে চলেছে, মৃত্যুভয় ক্রমশ আঁকড়ে ধরেছে এই অপরাধীদের। সম্প্রতি আদালত দ্বারা অপরাধীদের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় রিয়াজ এবং গাউস মোহাম্মদকে। বর্তমানে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি নতুন তথ্য উঠে এসেছে।
এনআইএ সূত্র মারফতে জানা গিয়েছে যে, কানহাইয়ালাল হত্যার পেছনে দুষ্কৃতীদের গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। তারা ঘটনার ভিডিও পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে। এক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ছিলো, ধর্মীয় দিক থেকে মানুষের মধ্যে হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করা। তবে বর্তমানে তাদেরকে মৃত্যুভয় ক্রমশ আঁকড়ে ধরেছে বলে মত এনআইএয়ের।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন করার অপরাধে কানহাইয়া লালকে গলার নলী কেটে নৃশংসভাবে খুন করে অপরাধীরা। তবে শুধুমাত্র খুন করা নয়, সমস্ত ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করে পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তারা। পরবর্তীকালে জানা যায় যে, ধর্মীয় ভাবাভেগে আঘাত লাগার জন্যই এই নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের পরিস্থিতি। সকলেই অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাতে থাকে। এর মাঝে আবার আদালতে তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার সময় সকল নিরাপত্তা ভেঙে রিয়াজ এবং মোহাম্মদ গাউসকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ক্ষুব্ধ জনতার বিরুদ্ধে। বর্তমানে তারা এনআইএ হেফাজতে রয়েছে এবং পরবর্তীতে আদালত কি সিদ্ধান্ত দেয়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।