বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্বপ্নের ইন্ডাস্ট্রি বলিউড (Bollywood)। প্রতি বছর শয়ে শয়ে মানুষ মুম্বই আসেন এই বিরাট ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়ার জন্য। অনেকে পরিশ্রমের জোরে সুযোগ পেয়ে যান ইন্ডাস্ট্রিতে। অনেকে আবার খালি হাতেই বিদায় নেন। কিন্তু বলিউডে ঢোকার থেকে এখানে টিকে থাকা অনেক বেশি কঠিন। এখানে প্রতি পদে পদে প্রতিযোগিতা। গ্ল্যামার আর প্রতিভার দড়ি টানাটানিতে অনেকেই মাঝপথে হাল ছেড়ে দেন।
এমনো অনেক তারকা আছেন যাদের বাবা মা অত্যন্ত সফল হলেও নেপোটিজমের সঠিক লাভ তুলতে পারেননি সন্তানরা। ফলতঃ কয়েকটা ছবিতে অভিনয় করেই মানে মানে বিদায় নিয়েছেন তাঁরা। বেছে নিয়েছেন অন্য কেরিয়ার। আজ বাংলাহান্টের পাতায় থাকছে এমনি কয়েকজন ‘ব্যর্থ’ বলিউড তারকার কাহিনি-
টুইঙ্কল খান্না– তালিকার প্রথমেই থাকবেন টুইঙ্কল। তাঁর আরো অনেক পরিচয় রয়েছে। সুপারস্টার রাজেশ খান্না এবং ডিম্পল কাপাডিয়ার মেয়ে টুইঙ্কল হলেন স্টারকিড। কিন্তু সে সময়ে নেপোটিজমের এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না। টুইঙ্কল অভিনয়ে পা রেখেছিলেন বটে তবে টিকতে পারেননি বেশিদিন।
১৯৯৫ সালে ‘বরসাত’ ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন টুইঙ্কল। তারপর খুব বেশি ছবি তিনি করেননি। অক্ষয় কুমারের সঙ্গে বিয়ের বছরেই অভিনয়কে বিদায় দেন তিনি। টুইঙ্কল নিজেই স্বীকার করেছেন, অভিনয় তিনি পারেন না। এখন লেখালেখি, প্রযোজনা নিয়েই দিব্যি আছেন টুইঙ্কল।
সোহা আলি খান– পতৌদি পরিবারের মেয়ে সুন্দরী সোহা। মা শর্মিলা ঠাকুর হিন্দি ও বাংলা ইন্ডাস্ট্রির নামী অভিনেত্রী ছিলেন। ২০০৪ সালে ‘দিল মাঙ্গে মোর’ ছবির হাত দিয়ে বলিউডে আসেন সোহা। বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন। বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন সোহা। কিন্তু কুণাল খেমুর সঙ্গে বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দেন তিনি। এখন একজন লেখিকা রূপে প্রতিষ্ঠিত সোহা।
ডিনো মোরিয়া– জনপ্রিয় মডেল হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। ‘পেয়ার মে কভি কভি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখলেও ডিনোকে জনপ্রিয়তা এনে দেয় ‘রাজ’। কিন্তু সেই জনপ্রিয়তা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি অভিনেতা। বলিউডকে বিদায় জানিয়ে এখন নিজের রেস্তোরাঁ খুলেছেন ডিনো।
কুমার গৌরব– জনপ্রিয় অভিনেতা রাজেন্দ্রর ছেলে কুমার গৌরব। ‘লভ স্টোরি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে অভিষেক করেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেই ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেন তিনি। এখন একজন সফল ব্যবসায়ী কুমার গৌরব।
প্রীতি জিন্টা– বলিউডের ডিম্পল সুন্দরী বলতে প্রীতির মুখটাই সবার আগে চোখের সামনে ভেসে ওঠে। নিজের সময়কার সফল অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। তাঁর সুপারহিট ছবি ও প্রাণখোলা মেজাজের জন্য এখনো সিনেপ্রেমীদের মধ্যে একই রকম ভাবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী। কিন্তু অনেকদিন আগেই ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে বিদেশে সংসার পেতেছেন প্রীতি।