Indian Railways: এবার রাজধানী, শতাব্দীর মত ট্রেনে মাত্র ৩০ টাকায় মিলবে লাঞ্চ ও ডিনার! শুধু মানতে হবে এই শর্ত

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে গণপরিবহণের ক্ষেত্রে অন্যতম মাধ্যম হল ট্রেন (Train)। নিত্যদিনের যাতায়াতের পাশাপাশি দূরপাল্লার গন্তব্যের ক্ষেত্রেও খরচ এবং সময় বিবেচনা করে ট্রেনের উপর ভরসা করেন যাত্রীরা। এমতাবস্থায়, যাত্রীদেরও সঠিক পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও, বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে পান থেকে চুন খসলেই তা হয়ে যায় ভাইরাল। এমতাবস্থায়, কিছুদিন আগেই ২০ টাকার চায়ে ৫০ টাকা সার্ভিস ট্যাক্সের একটি টুইট ভাইরাল হয়ে যায় নেটমাধ্যমে।

আর তারপরেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসে রেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, শুরু হয় তৎপরতাও। এমতাবস্থায়, যাত্রীদের বাড়তি দুর্ভোগ এড়াতে অবশেষে রাজধানী, বন্দে ভারত, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো দেশের অন্যতম দ্রুতগামী ট্রেনগুলিতে এবার খাবারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হল সরকারের তরফে। এদিকে, দামের নতুন তালিকা অনুসারে জানা গিয়েছে যে, টিকিটের সঙ্গে খাবারের দাম মিটিয়ে দিলে খরচ অনেকটাই সাশ্রয় হবে যাত্রীদের।

তবে, চায়ের ক্ষেত্রে দাম সমান রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, রেল মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, এবার থেকে চা পরিবেশনের ক্ষেত্রে আর কোনোরকমের সার্ভিস ট্যাক্স নেওয়া যাবে না যাত্রীদের কাছ থেকে। উল্লেখ্য যে, দুরন্ত, রাজধানী কিংবা শতাব্দীর মতো ট্রেনগুলির প্রথম শ্রেণিতে এক কাপ চায়ের দাম পড়ে ৩৫ টাকা। যদিও, এই দাম কমে আসে দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণি ও চেয়ারকারের যাত্রীদের জন্য। সেখানে এক কাপ চায়ের দাম হল ২০ টাকা।

এমতাবস্থায়, টিকিটের সঙ্গে খাবারের দাম মেটানো না থাকলেও ওই নির্ধারিত দাম দিতে হবে যাত্রীদের। আর সেক্ষেত্রে লাগবেনা কোনো সার্ভিস চার্জ। যদিও, অন্যান্য খাবারের দাম টিকিটের সঙ্গে না মেটানো থাকলে সেক্ষেত্রে ট্রেনে উঠে বাড়তি দাম দিতে হবে যাত্রীদের।

Train affordable foods

সর্বোপরি, একটি বিশেষ শর্তে ট্রেনে দুপুরের বা রাতের খাবার পাওয়া যাবে মাত্র ৩০ টাকায়। শুধু তাই নয়, চায়ের দামও কমে হবে মাত্র ৮ টাকা। মূলত, ট্রেন দেরি করে চললে এই দামে খাবার পাবেন যাত্রীরা। এমতাবস্থায়, দুপুরের বা রাতের খাবার পাওয়া যাবে ৩০ টাকায়। এমনকি, প্রাতরাশ বা সন্ধ্যের খাবারও ৩০ টাকার বিনিময়ে পাবেন ট্রেনে সফররত যাত্রীরা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর