বাংলাহান্ট ডেস্ক : SSC কেলেঙ্কারিতে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ দের নাম জড়াতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে। তবে, এবার দুর্নীতির ছবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠল রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে ডাটা এন্ট্রি অপারেট-সহ একাধিক অস্থায়ী পদে কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও। ফলে, চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়তেই পাল্টা সুর চড়িয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মামলা খারিজ করার আর্জি জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, ২০২১-২২ সালে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা করা হয়। ২০২১ সালে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার এবং সেইসঙ্গে ২০২২ সালে প্রায় ১৫ হাজার কর্মী নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে রাজ্য সরকারের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার পক্ষ থেকে। কিন্তু, দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সঠিক পদ্ধতিতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন না মেনেই চাকরি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা সইফুদ্দিন-সহ ১১ জন চাকরিপ্রার্থী। সেই সঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী পঙ্কজ হালদার, তাপস মান্নার তরফে বেআইনিভাবে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। একই ভাবে, ২০২২-এর জুলাই মাসে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও চাকরিপ্রার্থীদের তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে, আইনজীবীরা বক্তব্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয় অনলাইনে আবেদন করা যাবে ২-৮ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু, ইন্টারভিউ শুরু হয় আবেদন করার শেষ দিন থেকেই। আইনজীবীদের প্রশ্ন, তাহলে আগে থেকে যদি প্যানেল তৈরি না থাকে তাহলে আবেদন শেষ হওয়ার আগেই কী করে ইন্টারভিউ শুরুর দিন ধার্য করা হয়? এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন বলছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে লিখিত পরীক্ষা। তারপর নথি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হলে তবেই ইন্টারভিউ শুরু হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে কীভাবে সরাসরি ইন্টারিউ চালু হল সে বিষয়ে বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে।