ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতা! মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিত হাফ ডজন বিধায়ক! জল্পনা তুঙ্গে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঝাড়খণ্ডে। লাভদায়ক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) বিরুদ্ধে যে কোনও দিন রায় ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজ্যের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা মু্‌খ্যমন্ত্রীর বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে সরকার নিয়ে জরুরি পরিস্থিতির জন্য জোটের সমস্ত বিধায়ককে রাজ্য থাকতে বলা হয়েছে। আজ রাঁচিতে জোটের বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়। যাতে, হেমন্তের সদস্য পদ খারিজ হয়ে গেলে বিকল্প সরকার তৈরিতে বিজেপি কোনওভাবে সুযোগ না পায়।

কিন্তু জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে ৬ জন বিধায়ক অনুপস্থিত। অনুপস্থিত বিধায়করা অজুহাত দিয়েছে প্রবল বৃষ্টিট জন্য তারা আসতে পারে নি। যে ৬ বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন, কংগ্রেস থেকে ভূষণ বারা, পূর্ণিমা নীরজ সিং, মমতা দেবি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা থেকে সরফরাজ আহমেদ, চমরা লিণ্ডা, বসন্ত সোরেন। এছাড়া জানা যাচ্ছে, সমীর মোহন্তি এবং দীপল বিরুয়া দেরি করে বৈঠকে আসেন।

download 20

৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম-সহ শাসক জোটের বিধায়ত সংখ্যা ৫০। এরমধ্যে বড় শরিক জেএমএমের বিধায়ক ৩০ জন। ১৮ জন হলেন কংগ্রেসের। এছাড়া সিপিআই (এমএল) এবং এনসিপি-র একজন করে বিধায়ক রয়েছেন। ৩১ জন বিধায়ক রয়েছেন বিজেপি এবং তাদের সহযোগী দলের। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৪১ বিধায়কের সমর্থন।

বর্তমান সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক বাংলায় বিপুল টাকা-সহ গ্রেফতার হওয়ার পর জানা যায় বিজেপি সেখানে এমএলএ কিনে ঝাড়খণ্ডকে আর একটি মহারাষ্ট্র বানাতে চাইছে।

প্রসঙ্গত, হেমন্ত সোরেনের মামলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানি শেষ হয়েছে গত ১২ অগস্ট। কমিশন এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। ফলে দুশ্চিন্তার মেঘ জমেছে হেমন্ত ও তাঁর দলে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর