বাংলা হান্ট ডেস্ক: নেহাত ঝোঁকের বশেই লটারির (Lottery) টিকিট কিনেছিলেন তিনি। আর তারপরেই কেল্লাফতে! দরিদ্র সাধক হঠাৎ করেই হয়ে গেলেন কোটিপতি। রাতারাতি ভাগ্যও খুলে যায় তাঁর। এমনকি, ওই ঘটনায় অবাক হয়ে যান সকলে। যদিও, সেই টাকায় নিজের জন্য কিছু তৈরি না করে মায়ের মন্দির ও আশ্রম তৈরি করছেন ওই সাধক।
জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) গুড়াপের বাসিন্দা কলেজ কিস্কু ডিয়ার লটারি কেটে প্রথম পুরস্কার বাবদ এক কোটি টাকা জিতে যান। এদিকে, ছোট থেকেই বীরপুরের নিজের বাড়িতে তিনি তারা মায়ের সাধনা করেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে সাধক বলে জানলেও পেটের টানে এবং দারিদ্রতার মুখোমুখি হয়ে চাষের কাজও করতেন তিনি। যদিও, বাকি সময়টায় চলত মায়ের আরাধনা।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয়রা জানান, নিজের বাড়িতে তারা মায়ের পুজো করেন কলেজ কিস্কু। পাশাপাশি, পুজোর বিশেষ পার্বণে তিনি তাঁর বাড়িতে স্থানীয় মানুষদের নিমন্ত্রণও করতেন। স্বল্প সামর্থ্যের মধ্যেই তারা মায়ের বিশেষ পুজোর দিনে ভোগ রান্না করে তা পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করতেন তিনি। এমতাবস্থায়, কলেজ কিস্কু তারা মায়ের একটি মন্দির বানাতে চাইতেন। যদিও, নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মত অবস্থায় তা কার্যত অসম্ভব ছিল।
কিন্তু, হঠাৎ করেই তিনি একদিন লটারির টিকিট কাটেন। আর সেখানেই সরাসরি প্রথম পুরস্কার অর্থাৎ এক কোটি টাকা জিতে যান কলেজ কিস্কু। পাশাপাশি, লটারি কেটে কোটিপতি হওয়ার কথা সাধক নিজেই জানান স্থানীয় বাসিন্দাদের। আপাতত সেই টাকা দিয়েই মায়ের মন্দির এবং একটি আশ্রম বানিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণে ব্রতী হয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, লটারির প্রথম পুরস্কার হাতে পাওয়ার পরের দিন থেকেই আর অপেক্ষা না করে নিজের বাড়িতে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করে দেন ওই সাধক। পাশাপাশি, মন্দিরের পাশে দূর-দূরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য একটি থাকার আশ্রমও তৈরি করছেন তিনি। আপাতত জোরকদমে চলছে সেই কাজ। এদিকে, এই মহতী উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। যেকোনো পুজো-পার্বণে এখানে এসে পুজো দিতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে, কলেজ কিস্কু জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো লটারি কাটার অভ্যাস তাঁর ছিল না। কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই মায়ের নাম করে লটারির টিকিট কেটে ফেলেন তিনি। আর তাতেই কোটিপতি হয়ে যান ওই সাধক। পাশাপাশি, এই অর্থ পেয়েই তাই মন্দির তৈরিতে আর দেরি করেন নি তিনি।