গরুপাচার ছাড়া আরও ৫ উপায়ে মোটা আয় ছিল অনুব্রতর, ফাঁস হল বড়সড় চক্র

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক সম্পত্তির খোঁজ মিলছে অনুব্রত (Anubrata Mandal) ও তাঁর নিকট আত্মীয়দের। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১৬২টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এরই সঙ্গে, বেনামি সম্পত্তির সংখ্যাও প্রচুর। হদিশ মিলেছে ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটেরও। যা কেবল হিমশৈলের চূড়া বলেই মনে করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁরা মনে করছেন, এই সম্পত্তির বেশ কিছুটা গোরু পাচার থেকে পাওয়া টাকায় কেনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে তবে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির পিছনে রয়েছে আরও একাধিক অবৈধ উপায়ে রোজগার করা টাকাও। দেখে নেওয়া যাক কী কী পথে টাকা রোজগার করতেন কেষ্ট।

১) বালি
২) টেন্ডার
৩) টোল
৪) পাথর
৫) জমি

অবৈধ বালি খাদান : বীরভূমের বৈধ ও অবৈধ যত ঘাট থেকে বালি উত্তোলন হয়, তার দু’দিক থেকে টাকা যেত অনুব্রতর পকেটে। বৈধ বালিঘাটের মালিকদের থেকে মাসে দেড় লক্ষ টাকা তোলা নেওয়া হয়। আবার বৈধ ঘাট ছাড়া রয়েছে অসংখ্য অবৈধ ঘাটও। প্রশাসনের নাকের ডগাতেই যেখান থেকে বছরের পর বছর ধরে বালি তোলা ও পাচার করা হচ্ছে। যার অধিকাংশই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ দু’জন নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ। এই অবৈধ ঘাটগুলি বকলমে অনুব্রতর বলেই জানা যাচ্ছে। সে কারণেই অবৈধ ঘাটের বালির লাভের প্রায় ৭০ শতাংশই যেত অনুব্রত কাছে। বাকি ৩০ শতাংশ পেত সেই বালি মাফিয়ারা।

টেন্ডার দুর্নীতি : কমিশনের বিনিময়ে টেন্ডার পাওয়াতেন অনব্রত মণ্ডল। রাস্তা হোক বা পুরসভার অন্য কোনও কাজ, ১২ শতাংশ কমিশনের ভিত্তিতে তার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হত। ই-টেন্ডারের ব্যবস্থা না থাকায় মুষ্টিমেয় কিছু লোককেই বছরের পর বছর ধরে টেন্ডার পেতেন।পাইয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। কমিশন থেকে প্রাপ্ত টাকার অঙ্ক এক কোটির নীচে হলে তা পৌঁছাত অনুব্রতর ডান হাত হিসেবে পরিচিত সেই ব্যক্তির কাছে। সেখান থেকে সাইগেল হোসেন মাধ্যমে টাকা যেত অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। কিন্তু কমিশনের টাকার অঙ্ক ১ কোটি ছাডালে তা যেত সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের কাছে।

1661999214 anu

পাথর পাচার : বালির মতোই বীরভূমে যে কটি বৈধ পাথর খাদান রয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি অবৈধ পাথর খাদান থেকে পাথর তোলা হয়। ওই অবৈধ পাথর খাদানগুলি অনুব্রত মণ্ডলেরই ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডল নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ। আর টুলু মণ্ডলের হাত ধরেই পাথর পাচারের টাকার থলিও অনুব্রতর কাছে পৌঁছত বলে সূত্রের দাবি।

জমি দখল : বীরভূমে জুড়ে অনুব্রত মণ্ডলের নামে ভয় দেখিয়ে জমি দখল, দখলি জমি বিক্রির যে তথ্য বা অভিযোগ সামনে আসছে, তা চোখ কপালে ওঠার মতো। অল্প দামে লোকের জমি হাতিয়ে নেওয়া, মাঠ দখল, দেবত্ব সম্পত্তি দখল করে বিক্রি, খাস জমির ভুয়ো কাগজপত্র বানিয়ে বিক্রি করে দিয়েও অনুব্রত কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে বলে অভিযোগ।


Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর