পশু খাদ্য মামলায় লালুকে সাজা শোনানো বিচারকের ৫৯ বছর বয়সে বিয়ে! কনে বিজেপি নেত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রেম যে অন্ধ হয় তা শোনা যেত। এবার তা চাক্ষুষ করাও গেল। ৫৯ বছরের ‘যুবক’ প্রমিক বিয়ে করলেন তাঁর ৫০ ‘যুবতি’ প্রমিকাকে। প্রেমিক-প্রেমিকা আবার কোনও যে সে ব্যাক্তি নন। প্রেমিকের নাম শিবপাল সিং এবং প্রেমিকা হলেন নূতন তিওয়ারি। শিবপাল হলেন সেই বিচারক যিনি পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি মামালায় লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) শুনানি করেছিলেন। আর প্রমিকা জনপ্রিয় বিজেপি নেত্রী। বিহারের এই ঘটনায় চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়েই।

সাধারণ মানুষ বলছেন রিটায়ারমেন্টের বয়সে বিয়ে! কিন্তু তাতে কোনও যায় আসে না যুগলের। এমনিতে বিচারক হিসাবে শিবপাল সিং বেশ জনপ্রিয়। আদর্শ এবং কর্তব্যের প্রতি অবিচল থাকায় বিখ্যাত তিনি। নাহলে কি আর সেই সময়কার বিহারের ডাকসাইটে রাজনীতিবিদ লালু প্রসাদকে শাস্তির শুনানি করতে পারেন! নিজের কর্ম জীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় শুনিয়েছেন বিচারক সাহেব। যার মধ্যে অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিহারের পূর্ব মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের মামলার শুনানি করা। পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির সেই রায়ের সাজা আজও কাটছেন লালু। যদিও জামিন পেয়ে এখন সংশোধনাগারের বাইরেই আছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বয়স এবং স্বাস্থ্যের অজুহাত দেখিয়ে অনেকবারই মুক্তির আবেদন জানিয়েছেন লালু। কিন্তু আদালত প্রত্যেকবারই তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

   

judge shivpal singh want to justice 1515575553

এত গুরুত্বপূর্ণ রায় শোনানোর পর নিজের কর্ম জীবনের একেবারে অন্তিম লগ্নে এসে জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হয়ত নিলেন বিচারক শিবপাল সিং। নিজের প্রেমিকা নূতনের সিঁথি ভরিয়ে দিলেন সিঁদুরে। বিচারক শিবপাল গোড্ডা জেলা কোর্টে বিচারক পদে কর্মরত। বিজেপি নেত্রী আবার পেশায় আইনজীবী। কোর্টেই বিভিন্ন কাজের সূত্রে আসতেন নূতন। সেখান থেকেই আলাপ দুজনের। একই পেশা হওয়ার কারণে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে বেশি সময় নেয় নি। প্রথমে বন্ধুত্ব এবং সেখান থেকে প্রেম। এবং সেই প্রেম থেকেই অবশেষে বিয়ে।

বিচারক শিবপাল সিং ছিলেন বিপত্নীক। দু’দশক আগেই হারিয়েছেন তাঁর স্ত্রীকে। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। ছেলে মেয়েদের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই বিয়ের পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানাচ্ছেন বিচারক সাহেব। ছেলে মেয়েরা রাজি হতে তবেই সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দুজনে। অপরদিকে কনে নূতনের স্বামীরও মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। এই বয়সে এসে তাঁরও প্রয়োজন ছিল একটা সাথির। তাই তাঁর এই বিয়ের সিদ্ধান্ত। নতূনের একটি ছেলেও আছে।

পেশায় আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি নূতন বিজেপির সংগঠনের নেত্রীও। স্বামীর মৃত্যুর পর বিজেপির সংগঠন দেখার সঙ্গেই বিভিন্ন সামাজিক কাজও করতেন নূতন। বিহারের মহিলা সমাজকে নিয়েই মূলত কাজ করতেন নূতন। পিছিয়ে থাকা বর্গের মহিলাদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতেন তিনি। ফলে, এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন নূতন তিওয়ারি।

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর