প্রেমের টানে বাংলাদেশে গিয়ে বিয়ে, প্রতারিত হয়ে দশ মাস পর বাড়ি ফিরল নদিয়ার কিশোরী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রেমের টানে সুদূর বাংলাদেশে (Bangladesh) চলে গিয়েছিলেন এক ১৬ বছর বয়সী কিশোরী। সেখানে প্রতারণার শিকার হয় সে। অবশেষে দশ মাস পর নদীয়াতে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে এলেন সেই কিশোরী। সূত্রের খবর, গত বছর জানুয়ারি মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলাদেশের এক যুবকের সাথে পরিচয় হয় এই কিশোরীর। সেই পরিচয় ধীরে ধীরে গাঢ় হতে থাকে। এরপর সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় দুজনের। সেই যুবককে বিয়ে করার উদ্দেশ্য নিয়ে গত ১১ ই ডিসেম্বর নদীয়ার বাড়ি থেকে হঠাৎই উধাও হয়ে যায় বছর ষোলোর ওই কিশোরী।

সূত্রের খবর,এক যুবক কিশোরীকে কিভাবে বাংলাদেশ পৌঁছাতে হবে তাও খুব ভালো করে বুঝিয়ে দেন। যুবকের কথামতো বাংলাদেশে পৌঁছায় একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থানায় ডায়েরি করলেও কোনো ফল হয়নি। এই ঘটনার মাস চারেক পর হঠাৎই একদিন নিখোঁজ কিশোরী তার মাকে ফোন করে। মাকে জানায় লুকিয়ে ফোন করছে সে। তাকে যেন অতি দ্রুত ওই জায়গা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।কিশোরীটি তার মাকে বলে এক বাংলাদেশী যুবক তাকে বিয়ে করেছে।কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে আছে সে। এছাড়াও কিশোরী জানিয়েছিল যে তাকে দিয়ে খারাপ কাজ করানো হচ্ছে।

এরপর ওই কিশোরীর বাবা-মা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে ওই কিশোরীকে ফিরিয়ে আনার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে সবাই। পুলিশ প্রশাসন ও সমাজ সেবকদের সহযোগিতায় যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশ সরকারের সাথে। এরপর কিশোরীর বলা জায়গা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর দুই দেশের প্রশাসনের তৎপরতায় অবশেষে দশ মাস পর ঘরে ফিরে আসে ওই নাবালিকা কিশোরী।

নদিয়ায় নিজের বাড়ি ফিরে এসে ওই কিশোরী দাবী করেছে, তার বাংলাদেশী প্রেমিক প্রথমে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে পৌঁছালে তার স্বপ্নভঙ্গ হয়। সেখানে তাদের বিয়ে হয়।কিন্তু তার স্বামী তাকে নিয়ে নানারকম খারাপ কাজ করানোর চেষ্টা করে। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় তার ঠাঁই হয় মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সেখান থেকেই তাকে উদ্ধার করা হয়।

MARRIAGE 4

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় নামক এক বেথুয়াডহরির কলেজ শিক্ষক ও সমাজকর্মী কিশোরীটিকে উদ্ধার করতে বিশেষভাবে সচেষ্ট হন।তিনি জানিয়েছেন, “আমরা জানতে পেরেছিলাম যে বাংলাদেশের কুষ্টিয়াতে ওই মেয়েটি একটি মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে রয়েছে। এরপর প্রশাসনকে অনুরোধ করেছিলাম যাতে কিশোরীটিকে দ্রুত ফিরিয়ে আনা যায়।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর