বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিরাট সাফল্য যোগি ২.০ সরকারের (Yogi Government)। কর্মসংস্থানে দেশের ১৭ টি রাজ্যকে ছাপিয়ে গেল উত্তরপ্রদেশ (UP)। সেক্টর ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির সর্বশেষ রিপোর্টে এই তথ্যই সামনে এসেছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে রাজস্থানে (Rajasthan) বেকারত্বের হার ৩১ শতাংশ। গোটা দেশে এই হার ৭.৭ শতাংশ। সেখানে উত্তরপ্রদেশে বেকারত্বের হার ৩.৯ শতাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই এই বিরাট সাফল্যে খুশি উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। সেন্টার ফর মনিটরিং দ্য ইন্ডিয়ান ইকনমি একটি স্বাধীন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। তারা প্রতি মাসে ভারতে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।
CMIE ১ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত একটি সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে এই রিপোর্ট। এই সমীক্ষা শুধু উত্তরপ্রদেশেই নয়, বরং ভারতের ২৮ টি রাজ্য এবং ৯ টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের উপর সার্বিক ভাবে এই সমীক্ষা করা হয়। জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে বেকারত্বের হার ছিল ১৭.৫ শতাংশ। এই হার দেশের সার্বিক বেকারত্বের হারের থেকে অনেকটাই বেশি। চিত্রপটে বদল আনতে উদ্যোগি হয় যোগি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ আরও বেশি করে যুবক সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের কথা ভাবেন। এই উদ্দেশ্যেই তিনি শুরু করেন মিশন রোজগার। যার সাফল্যই প্রতিফলিত হচ্ছে সাম্প্রতিক এই রিপোর্টে।
পরিসংখ্যানটা বলছে, এখনও পর্যন্ত, প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ যুবককে সরকারি চাকরি, ৩ লক্ষ যুবককে সরকারি বিভাগের আওতায় চাকরি দিয়েছে যোগি সরকার। শুধু তাই নয়, ২ কোটি যুবককে MSME ক্ষেত্রে রোজগারের ব্যবস্থাও করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ সরকারের পরবর্তী পরিকল্পনা আরও চমকপ্রদ। প্রত্যেক পরিবার থেকে অন্তত একজন সদস্যকে রোজগারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যোগি আদিত্যনাথ। পরিবার কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারের পৃথক পরিচয় পত্রও তৈরি হবে। এই পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করার পোর্টালের পরীক্ষামূলক সূচনাও করতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে ১৫ কোটি আধার সংযুক্ত রেশন কার্ড ধারক রয়েছেন। যাদের খুব তাড়াতাড়ি এই পরিবার পরিচয় পত্র দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। যদিও এই প্রকল্প পুরোপুরি ভাবেই জনসাধারণের স্বেচ্ছাধীন। পরিবার কল্যাণ যোজনা সমস্ত পরিবারের রোজগারের পথ তৈরি করবে। এই পোর্টালে সমস্ত তথ্য থাকায় সরকার খুব সহজেই মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকল্পের সূচনা করতে পারবে বলেই মনে করছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।