বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কাল পাকিস্তানকে কার্যত পর্যদুস্ত করে এশিয়া কাপের শিরোপা মাথায় তুলেছে শ্রীলঙ্কা। এটি ছিল দ্বীপরাষ্ট্রের ষষ্ঠ এশিয়া কাপ জয়। দেশের চূড়ান্ত টালমাটাল আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিকে হার মানিয়ে সেই দেশের মানুষদের যেন বাঁচার জন্য একটি অবলম্বন দিলেন দাসুন শানাকারা। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে যখন শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তখন অনেকেই বলেছিলেন যে এই হার ফাইনালের ফলে কোনো প্রভাব ফেলবে না এবং যদি পাকিস্তান ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তারাই ট্রফি ঘরে তুলবে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে যাবতীয় থিওরিকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে লঙ্কান লায়নরা।
প্রথমে ব্যাট করে চূড়ান্ত বেকায়দায় পড়লেও রাজাপক্ষ এবং হাসানের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। ৫৮-৫ হয়ে যাওয়া স্কোরবোর্ডকে ২০ ওভার শেষে ১৭০ অবধি নিয়ে যান রাজাপক্ষ। কত আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে একাধিক আক্রমনাত্মক ইনিংস খেলে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন এই লঙ্কান মিডল অর্ডার ব্যাটার। আইপিএলে যেমনটা করতেন এখানেও ঠিক তেমনটাই করলেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম, ফখর জামান, ইফতিকার আলী, খুশদিল শাহ, আসিফ আলী প্রত্যেকে হতাশ করেছেন। পাকিস্তানের হয়ে একা কুম্ভ ছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একজন ব্যাটসম্যান এর পারফর্মেন্স কখনোই ম্যাচ জেতানো পক্ষে উপযোগী হয়ে ওঠে না। রাজাপক্ষকে যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন হাসা ডাঙ্গা সেই সাহায্যের হাত চেয়েও পাননি রিজওয়ান। ফলে ২৩ রানে হার মানতে হয় পাকিস্তানকে।
তবে দেশকে ট্রফি দিতে না পারলেও একটি বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি। বিরাট কোহলি কে টপকে এশিয়া কাপ ২০২২-এর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন রিজওয়ান। কোহলি ৫ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ২৭৬ রান। কাল ৪৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে রিজওয়ান ৬ ম্যাচে করলেন ২৮১।
তবে স্ট্রাইকরেট এভারেজ সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর সমস্ত দিক থেকে বিরাট কোহলি চেয়ে বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন রিজওয়ান। গোটা প্রতিযোগিতায় অপর ওপেনার বাবর আজম তাকে একেবারেই সঙ্গ দিতে পারেননি। যদিও সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের দৌড়ে ভারতের ভুবনেশ্বর কুমারকে (১১) পেছনে ফেলতে পারেননি পাকিস্তানের মহম্মদ নওয়াজ (৮)। ফাইনালে মাত্র ১ ওভার বল করেছিলেন তিনি।