বাংলাহান্ট ডেস্ক : তাঁকে দেখতে-শুনতে বেশ ভালো, মার্জিত ভাষা, রুচিশীল ব্যবহার! পেশায় আবার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (Software Engineer)। কিন্তু গোপনে তিনি যে এই ধরনের ব্যবসা করতে পারেন তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। সব শুনে চোখ কপালে উঠছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। গতকাল রাতে একটি সাদা স্করপিও গাড়ি এসে দাঁড়ায় সেই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির সামনে। প্রতিবেশীরা এক ঝলক দেখে ভেবেছিলেন বড় কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক কাজের সূত্রে এসেছেন। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন ওই সাদা গাড়ি করে এসেছেম লালবাজারের আধিকারিকরা।
কিন্তু লালবাজারের আধিকারিক হঠাৎ ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে কেন? তার উত্তর প্রতিবেশীরা পান একটু পরেই। আদতে প্রতারণার অভিযোগে সেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে ধরতেই হানা দেন তাঁরা! অভিযোগ, রাজ্যের একাধিক জায়গায় প্রতারণায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, আইটি কর্মী সেজে প্রতারণা করেছেন বিদেশের এক কোম্পানির সঙ্গেও। কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার অভিযান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এর বাড়িতে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পানিহাটি নিউ কলোনি এলাকায়।
কয়েক কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে পানিহাটি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড নিউ কলোনি এলাকায় এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা দিল লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার ৫ সদস্যের একটি দল। গোয়েন্দা সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পানিহাটি নিউ কলোনির বাসিন্দা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পার্থ গুহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেছেন।
তাঁর প্রতারণার জাল ছড়িয়েছে বিদেশেও। দেশের বাইরেও এক কোম্পানির সঙ্গে প্রতারণা ও কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে এই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে। এর আগেই ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের এক সহকারীকেও গ্রেফতার করেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। তার নাম শাকিল। সেই শাকিলকে নিয়েই পানিহাটি নিউ কলোনির সফটওয়্যার ইঞ্জিনের বাড়িতে অভিযান চালান গোয়েন্দা আধিকারিকরা। অভিযুক্ত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পার্থ গুহ আপাতত পলাতক। তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাশি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পার্থ গুহ পানিহাটি নিউ কলোনির বাড়ি ভাড়া দিয়ে সোদপুরের এক অভিজাত আবাসনে স্ত্রী সঞ্চিতা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বাস করেন। পানিহাটি নিউ কলোনি এলাকায় পার্থ গুহর বাড়িতে লালবাজারের গোয়েন্দাদের অভিযানকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় পার্থকে প্রায় ৬ মাস ধরে প্রায় দেখাই যায় না। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পার্থ গুহর নিউ কলোনির বাড়িতে ভাড়া থাকেন বেশ কয়েকজন। লালবাজারের গোয়েন্দারা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে জানা যাচ্ছে। ভাড়ার টাকা তাঁরা কোনও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেলতেন। সেই একাউন্টের যাবতীয় তথ্যও সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা জানতে চান। এক ভাড়াটে জানান, ‘আমাদের বাড়িওয়ালার সম্পর্কে কিছু জানতে চাইছিলেন। আমরা কীভাবে ভাড়া দিই, সেটাই জানতে চাইছিলেন