বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতারা। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। এছাড়াও অন্যান্য একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা তদন্তকারী সংস্থার জালে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিতা গড়ে তোলা তো দূরের কথা, বরং বিজেপির (BJP) দেখানো পথেই যেন ক্রমশ হেঁটে চলেছে সিপিএম (Cpim) আর এবার এই বিষয়টিকে সামনে এনে পলিটব্যুরো বৈঠকে ধমক খেলো বঙ্গ সিপিএম নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুকে কেন্দ্র করে অস্বস্তি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তৃণমূল সরকারের। এই পরিস্থিতিতে শাসক দলকে কোণঠাসা করতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি। তবে এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা তো দূরহস্ত, বরং দেশে প্রধান বিরোধী বিজেপির পথই অনুসরণ করে চলেছে সিপিএম!
সূত্রের খবর, এদিন সিপিএমের পলিটব্যুরো বৈঠকে এই প্রশ্ন তুলে বঙ্গ সিপিএম নেতৃত্বকে ধমক দেন সীতারাম ইয়েচুরিরা। এদিন বৈঠকে রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বকে ধমকের সুরে বলা হয়, “যেখানে সর্বভারতীয় দিক থেকে বিজেপি আমাদের প্রধান শত্রু, সেখানে রাজ্যে আপনাদের বক্তব্য এবং বিরোধিতার পথ ওদের সঙ্গে কেন মিশে যাচ্ছে? এতে মানুষের মধ্যে জনসংযোগ তৈরি করার সম্ভব হবে না। আপনারা তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিকল্প আন্দোলনের রাস্তা খুঁজে বের করুন।” পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করার প্রসঙ্গেও রাজ্য নেতৃত্বকে একাধিক নির্দেশ দেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
তবে শুধু বাংলা নয়, এদিন কেরল সিপিএমকে কেন্দ্র নেতৃত্বের মুখ ঝামটা খেতে হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির দুর্নীতি এবং মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে গোটা দেশজুড়ে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু হয়। তবে কেরলে একাধিক বাধার মুখে পড়তে হয়। ফলে দেশে যেখানে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি, সেখানে কংগ্রেসকে কেন একাধিক বাধার মুখোমুখি হতে হল, সেই বিষয়েও কেরল নেতৃত্বকে প্রশ্ন করা হয়।
একইসঙ্গে, কেরলে বাম সরকার থাকলেও বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক অভিযোগ সামনে এসে চলেছে। সেই সুযোগে বিজেপি ইতিমধ্যেই একাধিক খুঁটি সাজানো শুরু করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দ্রুত কোনো সমাধান সূত্র খুঁজে বের করার পরামর্শও দেন ইয়েচুরি।