বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিসিসিআই সভাপতি (BCCI President) সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে হঠাৎই দেখা হয়ে গেল কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) জানা যাচ্ছে, নাগপুর বিমানবন্দরে দু’জনের সাক্ষাৎ হয়। এমনকি একাধিক বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথাও হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কী বিষয়ে কথা হল দুজনের? তা নিয়েই এখন জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে
এই হঠাৎই হওয়া সাক্ষাৎ বিষয়ে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর জানান, ‘বাংলার খেলার উন্নতি কী ভাবে করা যায়, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আরও অনেক কিছু নিয়েই কথা হয়েছে। তবে সবটা এই মুহুর্তে বলার মত নয়।’ শান্তনুর এই মন্তব্য আপত দৃষ্টিতে খুবই সাধারণ বলে মনে হলেও এর শেষ দুটি বাক্যেই রয়েছে যত সন্দেহ। সৌরভকে নিয়ে ভেসে ওঠা জল্পনায় আবার নতুন করে অক্সিজেন জুগিয়েছে এই দুটি বাক্যই। তবে সৌরভের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই কোনও মন্তব্য করা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
যেদিন থেকে বিজেপি রাজ্যে শক্তি বাড়িয়েছে সেদিন থেকেই সৌরভকে নিয়ে শুরু হয়ে নানান জল্পনা। রাজনীতির অলিন্দে সৌরভ কি আদৌও আনুষ্ঠানিক ভাবে পা রাখবেন? এই নিয়ে বাংলায় তো বটেই গোটা দেশেরও বেশ কৌতূহল রয়েছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সৌরভের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে বেশ একটা হাওয়া উঠেছিল। সৌরভের বিজেপিতে যোগের গুঞ্জন ঘিরে সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। তারই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সৌরভের বাড়িতে এলে সেই জল্পনার আগুনে ঘি পড়ে। কিন্তু সেই আগুনে জল ঢেলে দেন সৌরভ নিজেই। রাজনীতিতে তিনি ‘আপাতত’ যোগ দিচ্ছেন না, সে কথা পরিস্কার জানিয়ে দেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
তবে সৌরভের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা ভাসতেই থাকে। তাই যখনই তাঁর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রীর দেখা হয়, তখনই মহারাজের রাজনীতিতে যোগদানের জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এদিকে মমতার সঙ্গে সৌরভের সম্পর্ক বেশ ভাল। কিন্তু পাশাপাশিই এমনও শোনা যায় যে, সৌরভের বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার পিছনে মূল হাত ছিল অমিত শাহর। এদিলে আর ভারতীয় বোর্ডে সৌরভের ‘ডেপুটি’ হলেন অমিতের পুত্র জয় শাহ। তাই সব মিলিয়ে সৌরভ যেকোনও দিন বিজেপিতে যোদ দিতে পারেন বলেই মনে করেন অনেকে।