SSC Recruitment Case: এখনও কতজন অযোগ্য চাকরি করছেন? আজ রিপোর্ট পেশ কোর্টে

বাংলাহান্ট ডেস্ক: এসএসসি-র নবম-দশমে (SSC Recruitment Case) ঠিক কতজন অযোগ্য চাকরি করছেন? হাইকোর্ট এই তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরেই খোঁজ শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, যোগ্য ব্যক্তিদের এবার চাকরি দেওয়ার সময় এসেছে। কতজনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই তথ্য জানতে চান তিনি। সিবিআই-কে সেই তথ্য জানাতে নির্দেশ দেন তিনি। 

একইসঙ্গে এসএসসি-কেও নির্দেশ দেন, তারা যাতে খোঁজ নেয় কত জন সহকারী শিক্ষক বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছেন। সেক্ষেত্রে ওয়েটিং লিস্টে থাকা পরীক্ষার্থীরা চাকরি পাবেন। মেরিট লিস্ট ও ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করা হলে বোঝা যাবে এটি হওয়ার কারণ। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ফলে আজ আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দেবে এসএসসি। 

জানা গিয়েছে, কাউন্সেলিং ও নিয়োগ লিস্ট মিলিয়ে ১৮৩ জনের চাকরিতে গরমিলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা যদিও দাবি করছেন সংখ্যাটা আসলে হাজারেরও বেশি। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই তথ্য জোগাড় করতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবী। সেখানে মামলাকারী ও এসএসসি-র আইনজীবীদের হাতে ২০১৬ সালের নবম-দশম নিয়োগের তালিকা তুলে দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এরপর সেই নিয়োগ তালিকা পরীক্ষা করা হলে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে আসে।

নবম ও দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং ও নিয়োগ তালিকা মিলিয়ে দেখা হয়। সেখানেই ১৮৩ জনের নিয়োগে গরমিল দেখা গিয়েছে। এর অর্থ কি টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন ওই ১৮৩ জন? এই তালিকাই বুধবার জমা পড়তে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে মাত্র ১৮৩ জনের তালিকা নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা নিশ্চিত, সংখ্যাটা এত কম নয়। তাঁদের মতে, শুধু নবম-দশমেই অযোগ্য নিয়োগের সংখ্যা হাজারেরও বেশি। তাহলে এসএসসি-র তরফে এত কম সংখ্যা পেশ করা হচ্ছে কেন?

এখানে কয়েকটি সম্ভাবনার কথা বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, এসএসসি নিয়োগ তালিকার সঙ্গে পুরনো নথি মিলিয়ে দেখা হয়েছে। কাউন্সেলিং-এর নথির সঙ্গে তথ্য যাচাই করা হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতিটা হয়েছে ইন্টারভিউতে। সেখানে অযোগ্যদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে এই পদ্ধতিতে তাঁদের ধরা সম্ভব নয়। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, পুরোনো নথিতে নাম ঢোকানো হয়েছে আগে থেকেই। 

উল্লেখ্য, এই মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে জেলে রয়েছেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা। অভিযুক্তরা গারদে। প্রশ্ন উঠছে, বুধবার আদালতে জমা পড়া রিপোর্টের ভিত্তিতে কি যোগ্য ব্যক্তিরা চাকরি পাবেন?

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর