বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুজোর আয়োজনে নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের নেতা – মন্ত্রী ও কর্পোরেটদের আঁতাতের অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেন। একটি বিশেষ পুজোসংখ্যায় তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে লেখেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে অনেক ছোট পুজো বন্ধ হয়ে যাবে।’ অন্যদিকে, বিরোধীদের প্রশ্ন কর্পোরেট যেমন শুধুমাত্র মন্ত্রীদের পুজোয় অনুদান দেয় তেমনই তাঁর দলের সরকারও তো পুরস্কার দিচ্ছে শুধুমাত্র বড় পুজোগুলিকেই। এই বিষয়ে কেন কোনও মন্তব্য করেলেন না কার্তিকবাবু?
মুখ্যমন্ত্রীর ভাই ‘সর্বজনীন দুর্গাপুজোর ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে লেখেন, ‘ক্ষমতাশালী কিছু লোক যদি সবই কুক্ষিগত করে রাখে, তাহলে সর্বজনীন দুর্গাপুজোর হবে কিভাবে? এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত। কিছু নেতা বা কিছু শক্তিশালী মানুষ, পুরোটাই নিজেদের মধ্যে কুক্ষিগত করে রাখছে। সবাইকে বলব, আপনারা সজাগ হোন, নয়তো সর্বক্ষেত্রে সর্বগ্রাসী ভূমিকা নেবে এরাই।’
কার্তিকবাবুর আরও অভিযোগ করেন, ‘যে কর্পোরেট সংস্থাগুলি টাকা দেয়, তারা ওই ১৫-২০টি পুজো বা কোন মন্ত্রী নেতা বা শক্তিশালী লোকজনদের বারবার দিচ্ছে। প্রতি বছর তারা সব টাকাটাই সাইফন করে তুলে নিচ্ছে। ফলে ছোট ছোট ক্লাবগুলো বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে।’
এই প্রতিবেদন নিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘রাজ্যে প্রায় ৪৫ হাজার পুজো হয়। কয়েক বছর আগেও এটা উৎসবের চেহারা পেত। কিন্তু এখন খরচের ভারে পাড়ার পুজোগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে। নেতা – মন্ত্রীদের ১৫ – ১৬টি পুজোয় সব আটকে আছে। তারাই কর্পোরেটদের সমস্ত টাকা পাচ্ছে।’
কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগের পরই তোপ দাগে বিরোধী পক্ষ। তাদের দাবি, কার্তিকবাবু লোক দেখানো কথা বলছেন। রাজ্যে পুজো দখলের চল শুরু হয়েছে তৃণমূলের শাসনেই। বাম জমানায় পুজোয় নেতা – মন্ত্রীদের প্রভাব থাকলেও তৃণমূলের মন্ত্রীদের মতো তারা দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে ওঠেননি। তাছাড়া তাঁর দলের সরকারও তো প্রতি বছর ঘুরে ফিরে ওই ১৫ – ১৬টি পুজোকেই পুরস্কৃত করে। তাহলে কর্পোরেটই বা সেই পুজোগুলিকে টাকা দেবে কেন? কলকাতার সব থেকে বিখ্যাত পুজো গুলোর মধ্যে একটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে না কি এবার রাজ্য সরকারি পুজো পুরস্কারের বিচারকরা যাননি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। আর তাই ব্রাত্য করে রাখা হল ঐতিহ্যবাহী এই পুজোকেও।
কার্তিকবাবুর মন্তব্য নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রীতিমতো আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উনি তো নিজে ৫০টা কমিটি আর অ্যাসোসিয়েশনের মাথায় রয়েছেন। হকি স্টিক কোনও দিন চোখে দেখেছেন কি না সন্দেহ, অথচ হকি অ্যাসোসিয়েশনের মাথাতে উনি। উনি আবার কুক্ষিগত করে রাখার কথা কী বলছেন? পুরোটাই লুটেপুটে খাওয়ার বন্দোবস্তো।
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির উপর দিয়ে ভেসে চলছে বিমান, তরুণীর ভিডিও দেখে হতবাক নেটমাধ্যম!