বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিকটবর্তী মসজিদ থেকে আজানের শব্দ শুনে বক্তৃতা থামিয়ে দিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রায় ৫ মিনিট স্তব্ধ থাকে গোটা এলাকা। শাহের এই কর্মকাণ্ডের দরুণ সেখানে উপস্থিত জনতার পাশাপাশি বর্তমানে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া তাঁর প্রশংসায় মেতেছে। এহেন একটি ভিডিও নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে গোটা দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা গিয়েছে আজানের শব্দ শুনতেই বক্তব্য থামিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বর্তমানে জন্ম ও কাশ্মীর সফরে রওনা দিয়েছেন অমিত শাহ। এক্ষেত্রে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকায় শাসনব্যবস্থা কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই সফর বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, বিএসএফ আধিকারিক এবং অন্যান্য একাধিক শীর্ষ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক সারেন শাহ।
এছাড়াও কাশ্মীরের উত্তর প্রান্তে বারমুল্লা জেলার শওকত আলি স্টেডিয়ামে গতকাল বক্তব্য রাখতে পৌঁছে যান অমিত। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হয়ে চলেছে; যেখানে দেখা গিয়েছে, বক্তৃতা রাখাকালীন পাশের মসজিদ থেকে আজানের শব্দ ভেসে আসতেই বক্তব্য বন্ধ করে দেন শাহ। পরবর্তীতে পাঁচ মিনিট স্তব্ধ থাকে গোটা এলাকা এবং এরপর সেখানে উপস্থিত জনতার অনুমতি নিয়ে ফের একবার বক্তৃতা শুরু করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শাহের এহেন কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়ে চলেছে। উল্লেখ্য, গতকাল জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, “কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসকে মুছে ফেলতে তৎপর আমরা। কাশ্মীর যাতে ভূস্বর্গ থাকতে পারে, সেই চেষ্টাই আমরা অবিরাম করে চলেছি। সন্ত্রাসকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। দেশের শান্তিপূর্ণ রাজ্যের মধ্যে কাশ্মীরকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাব আমরা।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজৌরীতে জনসভা করেন অমিত শাহ। ১৯৯১-এর পর এই প্রথম কোন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পীর পাঞ্জাল রেঞ্জে সমাবেশ করলেন। স্বাভাবিকভাবেই অমিত শাহের জনসভা ঘিরে জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে তিনি মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে ক্ষমতা তিন পরিবার থেকে ত্রিশ হাজার মানুষের হাতে প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। মোদী সরকারের আমলে অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষদের সংরক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যারা নিজেদের অধিকারের জন্য প্রত্যাশা করেছিল, তাদের সকলকে সংরক্ষণ দেওয়া এবং অধিকার পৌঁছে দেওয়া সম্ভবপর করেছে মোদী সরকার।”