বাংলাহান্ট ডেস্ক : মোমিনপুর হিংসার (Mominpore Violence) রেশ এবার গেল কলকাতা হাই কোর্টে। লক্ষ্মীপুজোর দিন মোমিনপুরে তাণ্ডবের বিরুদ্ধে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে উচ্চ আদালতে। রাজ্যে প্রশাসনের ব্যার্থতা স্পষ্ট। তাই কলকাতায় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের দাবি জাননো হয় আদালতের কাছে। সূত্র মারফত খবর, মোমিনপুর নিয়ে নব্যেন্দু কুমার বন্দোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তি ই-মেল করে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে একটি চিঠি দেন। নব্যেন্দুবাবুর দাবি ছিল, স্বতঃপ্রণোদিত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হোক এই হিংসাত্মক ঘটনায়।
অন্যদিকে গতকালই মোমিনপুর হিংসা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্য সুস্মিতা সাহা দত্ত। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিও তোলেন তিনি। মামলা দায়ের করার অনুমতিও দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। মোমিনপুরে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিস। সেদিনের ঘটনার পর থেকে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিস বাহিনী। এলাকা জুড়ে টহল দিচ্ছে র্যাফ। আজ পর্যন্ত একবালপুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এই মুহুর্তে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে বোতল ছোড়াছুড়ি-ইটবৃষ্টি হয়। অভিযোগ করা হয় বোমাবাজিও। শনিবার রাতের পর, রবিবার সন্ধেয় ফের উত্তেজনা ছড়ায় একবালপুর থানা এলাকায়। এরপরই, একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই ডিসি-সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এলাকায় মোতায়েন করা রয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী। নামানো হয়েছে র্যাফও।
সোমবার মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনাস্থলে যেতে চাওয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) আটক করে পুলিস। এদিন চিংড়িঘাটা মোড়ে আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। ডিসি ইস্ট গৌরব লালের সঙ্গে কথা হয় সুকান্ত মজুমদারের। শেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও তাঁর দুই সঙ্গীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। পরে অবশ্য ছাড়া পান তাঁরা।