বাংলাহান্ট ডেস্ক: কলিযুগে বাঁচতে গেলে টাকা লাগে… এ তো গানের লাইন। কিন্তু কথাটা যে বড় অবাস্তব নয় সেটা তো মানবেন? জীবনে টাকাই সবকিছু নয়, তবে অনেক সমস্যার সমাধানও কিন্তু হয় টাকার জোরেই। নাহ, বিতর্ক তৈরি করা এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য নয়। আসলে সাম্প্রতিক সময়ে নেটদুনিয়ায় যা চলছে তা দেখে নেটপাড়ার বাসিন্দারাই বলছেন, টাকাতেই লুকিয়ে রুপের রহস্য!
আপনি যদি নেটদুনিয়ার হাল হকিকত নিয়ে ওয়াকিবহাল হন, তবে এটা নিশ্চয়ই জানবেন যে পুরনো ছবি নতুন করে ভাইরাল করার ট্রেন্ড (Trend) আবার এসেছে ফিরিয়া! তারকা থেকে আমজনতা, রেহাই নেই কারোরই। সাত-আট বছরের বছরের আগেকার ছবির সঙ্গে তফাৎ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কয়েকজনের ক্ষেত্রে পার্থক্য এতটাই যে অবাক না হয়ে পারা যায় না। বিশেষ করে নোরা ফতেহি (Nora Fatehi) এবং রশ্মিকা মন্দানা (Rashmika Mandana), দুই অভিনেত্রীর পুরনো ছবি দেখে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় নেটনাগরিকদের।
একজন বলিউডের জনপ্রিয়তম তারকাদের মধ্যে একজন। শুধুমাত্র নাচের দক্ষতা দিয়েই খ্যাতির চূড়ায় উঠে বসেছেন। আর অন্যজন ‘জাতীয় ক্রাশ’। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি জয় করে এসেছেন বলিউডে। দুই তারকারই রূপের চর্চা হয় নেটপাড়ায়। লক্ষ লক্ষ অনুরাগী দুজনের। কিন্তু হঠাৎ করেই ট্রেন্ডের দৌলতে ফাঁস দুই সুন্দরীর আসল রূপ।
আট বছর আগে নোরা বা রশ্মিকার ছবি দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কয়েক বছরের ব্যবধানে যেন মানুষ দুটোই বদলে গিয়েছে। কার্যত আকাশ আর পাতালের তফাৎ। কাণ্ড দেখে ট্রোলের বন্যা নেটপাড়ায়। অনেকে দাবি করছেন, নোরার আগেকার আর এখনকার ছবি দেখলেই বোঝা যায় নিজের মুখ আর শরীরে কত প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন তিনি। চেনা যাচ্ছে না রশ্মিকাকেও।
দুই তারকার আগের ছবি দেখেই অনেকে দাবি করছেন, টাকা থাকলে সব হয়। টাকা ঢাললেই সুন্দরী হওয়া যায়, পাওয়া যায় খ্যাতি। অন্যরা অবশ্য এতে সমর্থন করছেন না। তাদের বক্তব্য, শুধু রূপের পসরা সাজালেই হয় না। চাই প্রতিভাও। নোরা এবং রশ্মিকা দুজনেরই প্রতিভাটা আছে। তার জোরেই আজকের খ্যাতি পেয়েছেন তাঁরা।