বাংলাহান্ট ডেস্ক: একেই মা মনসা, তায় ধুনোর গন্ধ। এখন কিছুটা এমনি অবস্থা ‘মিঠাই’ (Mithai) এর। টিআরপি কমে গিয়েছে অনেক আগেই। রেকর্ড গড়া বেঙ্গল টপার মিঠাই রানী অনেকদিন আগেই সেরা পাঁচ থেকে ছিটকে গিয়েছে। কোনো রকমে সেরা দশের তালিকায় টিকে রয়েছে মোদক পরিবার। নতুন সিরিয়ালগুলো যখন বাংলা সেরা হওয়ার লড়াইয়ে নাম লেখাচ্ছে, তখন মিঠাইয়ের টিআরপি উত্তরোত্তর কমেই চলেছে।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ট্রোলিং। দর্শকদের একাংশের অভিযোগ, গল্পের মান নাকি আগের থেকে অনেকটাই পড়ে গিয়েছে। এমনকি নতুন নতুন টুইস্টেও কোনো লাভ হচ্ছে না। সম্প্রতি নিজের দীর্ঘদিনের বাঁধাধরা স্লট হারিয়েছে মিঠাই। ‘নিম ফুলের মধু’র জন্য রাত আটটার স্লট ছেড়ে দিতে হয়েছে মোদক পরিবারকে। তার বদলে আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে সন্ধ্যা ছটায় দেখা যাবে মিঠাই।
এই মুহূর্তে বেশ দ্রুত এগোচ্ছে সিরিয়ালের গল্প। কিছুদিন আগেই দেখানো হয়েছিল মিঠাইরানী অন্তঃসত্ত্বা। বাড়িতে গোপাল আসার খবরে হুল্লোড় পড়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে সিদ্ধার্থ বাবা হওয়ার আনন্দে মাত্রাই ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কখনো মিঠাইয়ের জন্য আস্ত এক আইসক্রিমের গাড়ি নিয়ে আসা থেকে সাত তাড়াতাড়ি গোপালের জন্য দোলনা কিনে আনা, সবই করেছে সিড।
দুদিনের মধ্যেই গল্প এগিয়ে নিয়ে গিয়ে দেখানো হয় মিঠাইয়ের সাধের পর্ব। নন্দা নিঃসন্তান হওয়ায় প্রথমে তাকে দিয়ে কেউ সাধের রান্না না করালেও পরে মিঠাইয়ের আবদারে নন্দাই পায়েস রেঁধে খাওয়ায়। তার পরের পর্বেই আবার দেখানো হয় মিঠাইয়ের ডেলিভারির সময় উপস্থিত।
গোপালের বনভোজনে গিয়ে সেখানেই চিকিৎসকের উপস্থিতিতে প্রসব করে মিঠাই। তার কোল আলো করে আসে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। একে তো এমন তুফান মেলের গতিতে ডেলিভারি, তার উপর আবার সদ্যোজাত গোপালকে দেখে কোনো দিক দিয়েই মনে হচ্ছে না সদ্যোজাত।
নবজাত শিশু কখনো এত বড় হয়? গল্পের ছিরিছাঁদ নেই বলে অভিযোগ করেছেন নেটিজেনরা। এক সদ্যোজাত শিশু কতটা বড় হতে পারে সেই ধারনাও কি নেই সিরিয়াল নির্মাতাদের? নাহলে পুতুলই ব্যবহার করা যেত ডামি হিসাবে। নেটপাড়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দর্শকদের একাংশ।
মিঠাইয়ের গল্প যে লিপ নিতে চলেছে তা আগেই জানা গিয়েছিল। শোনা গিয়েছে, দাদাই ঠাম্মি চরিত্রদুটি এবার বিদায় নেবে গল্প থেকে। তার বদলে সিড মিঠাই এর ছেলে বড় হয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠবে। সিধাইয়ের ছেলের ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে তা নিয়েও চলছে জল্পনা।