বিজেপি-কে ‘ঝেঁটিয়ে’ বিদায় করার নিদান! বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক সূর্যকান্ত

বাংলাহান্ট ডেস্ক: নারায়ণগড় বিধানসভার কুনারপুরে চলছিল তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। সেই মঞ্চ থেকে তৃণমূল বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট নিদান দিলেন বিজেপি-কে ‘ঝেঁটিয়ে’ তাড়িয়ে দেওয়ার। যথারীতি তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূর্যকান্ত অট্ট এদিন ১০০ দিনের কাজ সম্পর্কে কেন্দ্রের মানসিকতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের জন্য অন্যান্য রাজ্য টাকা পেলেও বঞ্চিত করা হয় বাংলাকে। 

তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের উত্তরে বিজেপি-র তরফে বলা হয়েছে, সূর্যকান্তবাবু দলের সংস্কৃতি অনুযায়ী কথা বলেছেন। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ তৃণমূলকেই ‘ঝেঁটিয়ে’ বিদায় করবেন। রবিবার নারায়ণগড় বিধানসভার কুনারপুরের মঞ্চ থেকে তৃণমূল বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট বলেন, “বিজেপি-র বাবার টাকা? সংবিধানের আইন অনুযায়ী, কেউ কাজ করলে তার টাকা প্রাপ্য। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের লোক কাজ করলে টাকা পায়। তাহলে বাংলা কাজ করলে টাকা পাবে না কেন?”

তিনি আরও বলেন, “বিজেপি-রা ঘরে ঢুকলে ঝাঁটা মেরে তাড়িয়ে দিন। বিজেপি-কে কোনওভাবেই আসতে দেওয়া যাবে না। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। বাংলাকে আমরা কলুষিত হতে দেব না।” বিধায়কের এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে বিজেপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, “এটাই তো তৃণমূলের সংস্কৃতি। এটাই ওদের কালচার। এতে নতুন কিছুই নেই।”

একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, “এই অসভ্য, বর্বর, চোরদের নিয়ে তৈরি দলটিকে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দেখে আসছি। সুতরাং তাদের দলের বিধায়কের মুখের ভাষা তো এমন হবেই। কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকায় আপনারা খেলা-মেলা-মোচ্ছব করবেন, কাটমানি খাবেন। নিজেদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়াবেন। সাধারণ মানুষের পরিষেবার পরিবর্তে নিজেদের উন্নয়ন করবেন কিন্তু সেসবের হিসেব দেবেন না। অথচ চাইবেন কেন্দ্র সরকার টাকা দিয়ে যাবে। এটা তো হতে পারে না।” 

পাশাপাশি তৃণমূলকে অত্যন্ত কড়া ভাষায় কটাক্ষ করে অরূপ দাস বলেন, বিধায়ক তাঁর দলের সংস্কৃতি মেনেই এই কথা বলেছেন। এটাই দলের পরম্পরা। একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, “সূর্যবাবুকে আশ্বস্ত করতে চাই, ভারতীয় জনতা পার্টিকে ঝাঁটা মারার মতো সাধ্য আপনাদের নেই। কারণ বাংলার মানুষ আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করবে। টেট, এসএসসি থেকে ১০০ দিনের কাজ, দুর্নীতি কোথায় গিয়েছে তা মানুষ দেখেছেন।”   

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর