বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় গোটা বাংলা। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির পাশাপাশি কয়লা এবং গরু পাচার মামলাতে একেই উত্তাল পরিস্থিতি আর এবার লটারি কাণ্ডেও (Lottery Case) একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসে চলেছে। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারিতে কোটি টাকা প্রাপ্তি নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্কর জন্ম নিয়েছে আর এবার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) নামেও একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। পরবর্তীতে তৃণমূল নেতা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও ব্যবসায়ীদের নামে কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির হদিস মেলে। শুধু তাই নয়, অনুব্রত কন্যা সুকন্যার নামেও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি এবং জমির খোঁজ পায় সিবিআই আর এর মাঝেই বর্তমানে লটারি কাণ্ডে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে উঠে এসেছে সিবিআইয়ের।
এ বছরের শুরুর দিকে একটি লটারি টিকিট কেটে এক কোটি টাকা জেতেন অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এক্ষেত্রে লটারি টাকা প্রাপ্তি সত্য ঘটনা, নাকি এর পিছনে কালো টাকা সাদা করার চক্রান্ত রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে তৎপর তারা আর এবার তৃণমূল নেতার নামে আরো তিনটি লটারির টাকার খোঁজ পেল CBI।
সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত কন্যার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-এ অতীতে দুইবার লটারির টাকা ঢোকে। এক্ষেত্রে ২৫ লাখ এবং ২৬ লাখ সবমিলিয়ে ৫১ লক্ষ টাকা ঢোকে তাঁর অ্যাকাউন্টে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে অনুব্রতর অপর একটি অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এক্ষেত্রে একটি পরিবারে এতবার লটারির টাকা জেতা নিয়ে ইতিমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিস্তর জল্পনার।
উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুর দিকে একটি ছবি ক্রমাগত ভাইরাল হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে দেখা যায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল লটারিতে এক কোটি টাকা জয় লাভ করেছেন। পরবর্তীতে অনুব্রত জানান, “আমার নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছ থেকে লটারির টিকিট কেটে কোটি টাকার প্রাপ্তির কথা অনেক শুনি। সেই সময় আমি তাদেরকে এক প্রকার মজার ছলে টিকিট কাটতে বলি। আর তাতে কোটি টাকা প্রাপ্তির ঘটনা ঘটে। তবে সেই টিকিটটা ছিল নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে।”
তবে গত কয়েকদিনে লটারি কাণ্ডে উঠেপড়ে লেগেছে সিবিআই। অনুব্রত ইস্যুতে গত বুধবার বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। উল্লেখ্য, যে লটারি দোকান থেকে টিকিট কেটে কোটিপতি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, সেই দোকানেরই মালিক বাপি গঙ্গোপাধ্যায়।
পাশাপাশি বাপিকে আরও কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বোলপুরের ওই লটারির দোকানে পৌঁছে যায় সিবিআই অফিসাররা। এরপরই অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ আর এবার অনুব্রত কন্যার নামে মিললো একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য, সব মিলিয়ে অ্যাকশনে সিবিআই।