বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফের আইনি গেরোয় বলিউড গীতিকার জাভেদ আখতার (Javed Akhtar)। শিল্পীদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল জাভেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, গীতিকারের সংস্থা একাধিক শিল্পীকে ঠকিয়ে বেআইনি ভাবে টাকা তুলেছে।
জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন গণেশ মালিক নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, আই পি আর এস নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত জাভেদ আখতার। গীতিকারের লেখা গান যে সব শিল্পীরা গাইছেন, তাদের থেকে কপিরাইটের নাম করে বেআইনি ভাবে টাকা তুলছে ওই সংস্থা।
পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, গোটা দেশ জুড়েই নাকি এই বেআইনি টাকা তোলার কারবার চলছে। পুলিসে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে দাবি অভিযোগকারীর আইনজীবীর। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের উপরে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হোক বলে দাবি অভিযোগকারীর আইনজীবীর। আগামী সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হবে।
জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগ অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন জাভেদ। ছেড়ে কথা বলেননি কঙ্গনাও।
কঙ্গনার বিরুদ্ধে আনা মানহানির মামলার শুনানির সময় অভিনেত্রীর আইনজীবী রিজওয়ান রক্ষিত দাবি করেছিলেন, ২০১৬ তে হৃতিক কঙ্গনার ইমেল যুদ্ধের সময় জাভেদ নাকি মধ্যস্থতা করে দুজনের ঝামেলা মিটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেল এবং হৃতিককে একসঙ্গে ডেকে নাকি কথা বলে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন তিনি। দু পক্ষেরই পরিচিত এক চিকিৎসকও নাকি উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
পালটা আদালতে দাঁড়িয়ে জাভেদ আখতার দাবি করেছিলেন হৃতিক কঙ্গনার সমস্যা মেটাতে তিনি নিজে গিয়েছিলেন অভিনেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। গুরুজন হিসেবেই তিনি বিষয়টা মিটিয়ে নিতে উপদেশ দিয়েছিলেন। এতে দু পক্ষেরই ভাল হবে। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়েছিল। আখতার দাবি করেছিলে, কঙ্গনা নাকি তাঁর কোনো কথা শোনার প্রয়োজনই মনে করেননি। উলটে বলেছিলেন নিজের যেটা ঠিক মনে হয় সেটাই করবেন। তিনি হুমকি দিয়েছিলেন হৃতিককে দেখে নেবেন।