বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় বলে ভাগ্যে থাকলে তা আটকায় সে সাধ্যি কার! মাত্র ১৫০ টাকার লটারি (Lottery) কেটেই হাতে এলো প্রথম পুরুস্কার (First Prize )। তেহট্টের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জিতলেন এক কোটি টাকা। পেশায় তিনি একজন পুলিশ কর্মী।
গতকাল সকালে স্থানীয় এক লটারির দোকান থেকে ১৫০ টাকার টিকিট কাটেন তিনি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই কোটি টাকা জেতার স্বপ্ন তিনি দেখেন নি। ওই আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতেই লটারি কাটেন তিনি। আর তাতেই কেল্লা ফতে। খুলে গেলো ভাগ্য, আর হাতে এলো নগদ এক কোটি।
প্রসঙ্গত বর্তমানে সেই পুলিশ কর্মী কলকাতার খিদিরপুরে কর্তব্যরত রয়েছেন। দুপুরবেলা হটাৎ লটারি বিক্রেতার ফোন থেকে তার নম্বরে ফোন আসে। আর সেই সময়ই টিকিট বিক্রেতার ফোনে রীতিমতো চমকে যান পুলিশ কর্মী। তাকে জানানো হয় কোটিপতি হয়েছেন তিনি। সকালে কাটা লটারির টিকিটে জিতেছেন এক কোটি টাকা। খবর শোনা মাত্রই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন তিনি। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ।
বাড়িতে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর মা, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার। তার বড় মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। এক টিকিটে কোটি টাকা জয়ের ঘটনায় উচ্ছাসিত তার বাড়ির লোকজনও। এককথায় বাড়ি ছেয়ে গেছে খুশির বাতাবরণে।
মৃত্যুঞ্জয়বাবু জানান, “লটারি আমি সচরাচর কাটি না। সব সময় দেখতাম অনেকেই কাটে সেরকমভাবে নিয়মিত লটারি আমি কাটিনি কখনওই। আজকে নেহাত নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্যেই সকাল বেলা ১৫০ টাকার লটারি কাটি। এরপরেই দুপুরবেলা খেলার ফলাফল বের হলে সেলার আমাকে ফোন করে জানায়। এই লটারি টাকা দিয়ে আমার দুই মেয়ের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে রাখবো।”
রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার খবর শোনার পরই কোনওরকম বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি সত্বর লটারি টিকিট সঙ্গে নিয়ে তেহট্ট থানায় যান। বর্তমানে নিজ সুরক্ষার জন্য তিনি তেহট্ট থানাতে রয়েছেন।