বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘দুপুর ঠাকুরপো’ ওয়েব সিরিজের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। প্রথম দুই সিরিজে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং মোনালিসা কার্যত ঝড় তুলেছিলেন। তৃতীয় সিজনে দেখা মিলেছিল ‘ফুলওয়া বৌদি’ রূপে ফ্লোরা সাইনির (Flora Saini)। লাস্যময়ী ফ্লোরাকে দেখে চোখ কপালে উঠেছিল দর্শকদের। পরবর্তীকালেও এমন সাহসী অবতারে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
সেই ফ্লোরার জীবনেই যে এমন ভয়াবহ অতীত থাকতে পারে তা কেউ ভাবতেই পারেনি। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার কাণ্ডে শিউরে উঠেছিল দেশ। লিভ ইন সঙ্গী আফতাবের নৃশংসতা শুনে থমকে গিয়েছিলেন সকলে। আর সেই ঘটনা শুনে ফ্লোরার মনে পড়ে গিয়েছিল তাঁর জীবনের ভয়ঙ্করতম কিছু ঘটনা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফ্লোরা জানান, শ্রদ্ধা কাণ্ডের সঙ্গে নিজের জীবনের ওই সময়টার মিল পান। তিনিও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নিজের প্রাক্তন লিভ ইন সঙ্গীর দিকে। পরিচালক গৌরাঙ্গ দোশির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ফ্লোরা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাবা মায়েরা বিপদের আঁচ পান। তাই সবসময় পরিবারের থেকে দূরে করে দেওয়া হয় আগেই। শ্রদ্ধার সঙ্গে তাই হয়েছিল। আর ফ্লোরা নিজেও বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছিলেন প্রেমিকের কাছে।
তাঁর চোখে প্রেমিকের কোনো খারাপ দিকই ধরা পড়েনি। গৌরাঙ্গর জেদেই তাঁর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন ফ্লোরা। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই তাঁর মোহ ভাঙে। ফ্লোরা জানান, একদিন ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলতেই আসল রূপ ধরেন প্রেমিক গৌরাঙ্গ।
মেরে ফ্লোরার চোয়াল ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। নিজের বাবার ছবিতে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করেন, সে রাতে ফ্লোরাকে মেরেই ফেলবেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘ফটোফ্রেমটা রাখার জন্য যেই ও পেছন ফিরল, ওই এক সেকেন্ডের মধ্যেই যেন আমার কানে মায়ের গলা শুনতে পেলাম, পালা! জামাকাপড় পরা আছে কি নেই, সঙ্গে টাকা আছে কি নেই কিচ্ছু ভাবার দরকার নেই।’
সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে পালান ফ্লোরা। সোজা নিজের বাড়িতে পৌঁছে তবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন আর প্রতিজ্ঞা করেন, কখনো ফেরত যাবেন না। অভিনেত্রী জানান, পুলিসের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারা অভিযোগ তো নেনইনি, উপরন্তু গৌরাঙ্গকে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছিলেন সবটা।