২০২৪ সালের মধ্যে এই ক্ষেত্রে আমেরিকার সাথে পাল্লা দেবে ভারত! বড়সড় দাবি করলেন নীতিন গড়করি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আমাদের দেশজুড়ে সড়ক পরিকাঠামোয় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। পাশাপাশি, বৈদ্যুতিক যানবাহন সংক্রান্ত অগ্রগতিতেও তিনি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এমতাবস্থায়, গত শুক্রবার তিনি জানান যে, ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগে ভারতের সড়ক পরিকাঠামো (Road Infrastructure In India) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমান হবে।

মূলত, FICCI-এর ৯৫ তম বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে, নীতিন গড়করি জানান যে, “আমরা দেশে বিশ্বমানের সড়ক পরিকাঠামো তৈরি করেছি এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগে আমাদের সড়ক পরিকাঠামো আমেরিকার সমমানের হবে।” পাশাপাশি, লজিস্টিকের খরচের বিষয়ে, নীতিন গড়করি জানান, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এটি ৯ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তাঁর মতে, “আমাদের লজিস্টিক খরচ একটা বড় সমস্যা। বর্তমানে এটি ১৬ শতাংশে রয়েছে। তবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ আমরা এটি ৯ শতাংশে নামিয়ে আনব।” এর পাশাপাশি, বিশ্বের ৪০ শতাংশ সম্পদ খরচ করে এমন নির্মাণ শিল্প সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, নীতিন গড়করি জানান যে, “আমরা অন্যান্য বিকল্পগুলি গ্রহণ করে নির্মাণ কাজে স্টিলের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছি। আমরা জানি যে নির্মাণ শিল্প কেবল পরিবেশ দূষণই ঘটায় না বরং বিশ্বের ৪০ শতাংশেরও বেশি পণ্য ও সম্পদ ব্যবহার করে।”

পাশাপাশি, ওইদিন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ” আমরা সম্পদের ব্যয় হ্রাস এবং নির্মাণের মান উন্নত করার দিকে মনোনিবেশ করছি। সিমেন্ট এবং ইস্পাত নির্মাণের প্রধান উপকরণ। তাই আমরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করে নির্মাণ কাজে স্টিলের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছি।”

nitin gadkari2 1552205673

এছাড়া, নিতিন গড়করি এই বিষয়টিও মেনে নিয়েছেন যে, বর্তমানে ভারত নিজেকে শক্তি রপ্তানিকারক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে আরও ভালো অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, সবুজ হাইড্রোজেন অদূর ভবিষ্যতে শক্তির একটি প্রধান উৎস হবে। এই সবুজ হাইড্রোজেন ভবিষ্যতে বিমান চলাচল, রেলপথ, সড়ক পরিবহণ, রাসায়নিক এবং সার শিল্পে শক্তির একটি প্রধান উৎস হবে বলেও জানান তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর