বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেষ্টর ‘কাছের লোক’ বলেই সকলে চেনে। তবে বিগত এক বছর থেকে দলের কাছে ব্রাত্য তিঁনি। একবার খোঁজখবরও নেন না দলের কেউ। অবশেষে রেগে দল পরিত্যাগ করলেন বীরভূমের (Birbhum ) তৃণমূল (TMC) জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা (Biplab Ojha)।
নতুন বছর পড়লেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। একদিকে বহুমাস থেকে গরু পাচার কাণ্ডে শ্রীঘরে রয়েছেন ‘বীরভূমের বাঘ’ তথা বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ভোটপূর্বে কেষ্টর অনুস্পস্থিতে যথেষ্টই নরবড়ে শাসক দল। এরই মধ্যে দলকে আরও কিছুটা দুর্বল করে দিয়ে পদত্যাগ করলেন জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা।
মঙ্গলবার দলের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ-অভিমানের কথা উগরে দিলেন বিপ্লব। জানান, ‘‘আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে ভীষণ দুঃখের। তবু নিতে হচ্ছে। আমি ২০০৯ সাল থেকে আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলছি, আমি দল ছাড়ছি। এর পিছনে অনেক কারণ আছে।’’ এরপর তিঁনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলের কাছে আমার আর কোনও মূল্য কিংবা গ্রহণযোগ্যতা নেই। দলীয় কর্মসূচি, বৈঠক— কোথাও আমাকে আমন্ত্রণ করা হয় না। আমার অনেক অনুগামী আছেন। শুভাকাঙ্খী আছেন। তাঁরা এ নিয়ে আমায় প্রশ্ন করেন। কিন্তু আমার কাছে এর সঠিক উত্তর নেই।’’
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বীরভূমের তৃণমূল শিবিরে যোগদান করেছিলেন বিপ্লব। সেই সময় নলহাটি পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান পদে আসীন ছিলেন তিঁনি। ২০১২ সাল পর্যন্ত ওই পুরসভার চেয়ারম্যান থাকার পর ২০১৩ সালে নলহাটি বিধানসভায় উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন তিঁনি। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে বিপ্লবকে সংগঠনের কাজে লাগায় দল। দেওয়া হয় জেলা সহ-সভাপতির দায়িত্ব। তবে কাঁধে অগাধ দায়িত্ব থাকার পরও দল তরফে কদর না পেয়ে অনুব্রতর অনুপস্থিতিতেই দল ত্যাগ করলেন বিপ্লব। ভোটপূর্বে জেলবন্দি অনুব্রতর দেওয়া একতা বার্তার বিপরীতে হাঁটলেন এই দলনেতা।