বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছর শেষে মর্মান্তিক খবর এল বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে। প্রয়াত হলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর (Chanchal Chowdhury) বাবা রাধাগোবিন্দ চৌধুরী। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা ৫০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতার বাবা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আচমকা সেরিব্রাল অ্যাটাকের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল চঞ্চল চৌধুরীর বাবাকে। ছিল বেশ কিছু বয়সজনিত সমস্যাও। ‘হাওয়া’ ছবির অস্কারে মনোনয়ন, এপাল বাংলায় ছবির প্রদর্শনীর আনন্দে পুরোপুরি ভাবে সামিল হতে পারেননি অভিনেতা। বাবার অসুস্থতার চিন্তা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল তাঁকে।
এপার বাংলায় ‘হাওয়া’র সাংবাদিক বৈঠকেও উপস্থিত থাকতে পারেননি চঞ্চল চৌধুরী। পরে অবশ্য পরিবারের থেকে অনুমতি নিয়ে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এসেছিলেন তিনি। মুখে হাসি ঝুলিয়ে রাখলেও অভিনেতা জানিয়েছিলেন, কোনো রকম খবর পেলেই তাঁকে ছুটতে হবে ঢাকায়।
শেষরক্ষা করা গেল না। শুক্রবারই পিতৃহারা হলেন চঞ্চল চৌধুরী। অভিনেতার ব্যক্তিগত শোক ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতেও। তাঁর গ্রামের বাড়ি পাবনার কামারহাটে বাবার শেষকৃত্য হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মনের কথা উজাড় করে দিয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। বাবার ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছিলেন, ‘ছোট বেলায় যতটা ভালো ছাত্র ছিলাম, তার চেয়ে অনেক বেশী দুরন্ত ছিলাম। যদিও রোল নম্বর সব সময়ই এক/দুই/তিনের মধ্যেই থাকতো। একজন সৎ এবং স্বনামধন্য শিক্ষক হিসেবে আমার বাবাকে এলাকার সবাই একনামে চিনতো, এখনো চেনে। যে কোন জায়গায় গেলে, বাবার ছেলে হিসেবেই বেশী সমাদর পেতাম।’
বাবার ছেলে হিসাবে পরিচিত হওয়ার পর এখন তাঁর পরিচয়ে পরিচিত হন তাঁর বাবা। এটা যে অভিনেতার বাবার কাছেও কতটা গর্বের সেটাও জানিয়েছিলেন তিনি। বাবার সেই গর্বিত মুখটা দেখে চঞ্চল চৌধুরীর চোখ দুটোও ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। তিনি আরো লিখেছিলেন, ‘কয়েকটা দিন হলো, বাবা হাসপাতালের বিছানায় অচেতন। চোখের জলে আমাদের বুক ভেসে যায়, আর প্রার্থনা করি, আমার বাবা সুস্থ্য হয়ে উঠুক। বাবা মাকে হাসপাতালের বিছানায় রেখে কোন সন্তানই ভালো থাকতে পারে না। আমিও ভালো নেই’।