বাংলা হান্ট ডেস্ক: ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লখনউয়ের (Lucknow) নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ জুলজিক্যাল পার্কে (Nawab Wajid Ali Shah Zoological Park) প্রাণ হারাল কিশান নামের একটি পুরুষ বাঘ। ২০০৯ সালের ১ মার্চ ওই বাঘটিকে কিশানপুর টাইগার রিজার্ভ থেকে উদ্ধার করে লখনউয়ের জুলজিক্যাল পার্কে আনা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েই প্রাণ হারায় সে।
২০০৮ সাল নাগাদ স্থানীয় মানুষের কাছে রীতিমতো “আতঙ্ক” তৈরি করেছিল এই বাঘ। এমতাবস্থায়, বেশ কয়েক মাস পরিশ্রমের পর বনবিভাগের টিমের হাতে ধরা পড়ে ওই বাঘটি। তারপরেই ২০০৯ সালের ১ মার্চ কাম্পতাদার কিশানপুর টাইগার রিজার্ভের দুধওয়া জাতীয় উদ্যান থেকে লখনউয়ের জুলজিক্যাল পার্কে নিয়ে আসা হয় সেটিকে। যদিও, ওই জুওলজিক্যাল পার্কে আনার পর বাঘটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, কিশান হেমাঙ্গিওসারকোনোমা নামক ক্যান্সারে আক্রান্ত।
এমতাবস্থায়, এই ক্যান্সার বাঘটির কান ও মুখের কাছে ছড়িয়ে পড়েছিল। যার কারণে সেটি বন্য প্রাণী শিকারের ক্ষেত্রে পুরোপুরি সক্ষম ছিল না। এদিকে, কিশান ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে জুওলজিক্যাল পার্কে ছিল। পাশাপাশি, তার ক্রমাগত চিকিৎসাও চলে। সময়ের সাথে সাথে বয়স বৃদ্ধি পেলেও এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকার পাশাপাশি সে সাধারণ বাঘের মতই আচরণ করত।
যদিও, শেষ কয়েকটা দিনে কিশান স্বাভাবিকভাবে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং সে তার নড়াচড়াও কমিয়ে দিয়েছিল। তারপরেই গত শুক্রবার প্রাণ হারায় সে। এমতাবস্থায়, পার্কের নির্দেশক ভি কে মিশ্র ও বন্যপ্রাণী চিকিৎসকদের পাশাপাশি জুলজিক্যাল পার্কের কর্মীরা ওই পুরুষ বাঘটিকে শেষ বিদায় জানান।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কাজরি নামের এক বাঘিনীও বর্তমানে ওই জুওলজিক্যাল পার্কে রয়েছে। কিন্তু বার্ধক্যজনিত কারণে কাজরির অবস্থাও উদ্বেগজনক। এমতাবস্থায়, তাকে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে হিটারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।