বাংলা হান্ট ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই যাত্রী নিয়ে সফর শুরু হয়ে গেল রাজ্যের বহুপ্রতিক্ষিত ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Bands Bharat Express)। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রবিবার বন্দে ভারতের সব কোচই ছিল “হাউসফুল”। যদিও, ঠিক তারপরেই উঠে আসছে অন্য এক প্রশ্ন। মূলত, এই সেমি হাই স্পিড ট্রেনের অন্যান্য দিনের কয়েকশ টিকিট অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এমতাবস্থায়, আপনি চাইলে এখনই টিকিট কেটে এই ট্রেনের সফর করতে পারেন।
এদিকে, ওই একই রুটে যেখানে দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেসের মত ট্রেনগুলির টিকিট পেতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে যাত্রীদের সেখানে সবে মাত্র পথ চলা শুরু করেও যাত্রীরা যেন মুখ ফিরিয়ে রাখছেন বন্দে ভারতের থেকে। এমতাবস্থায়, প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, কেন এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বন্দে ভারতকে? পাশাপাশি, কেনই বা এত আলোচিত ট্রেন হওয়া সত্বেও যাত্রীরা আগ্রহ প্রকাশ করছেন না বন্দে ভারতের প্রতি?
যদিও, এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী অবশ্য এই মরশুমটিকে লিনড সিজন হিসেবে অভিহিত করেছেন। অর্থাৎ, সোজা কথায় এই সময়টাতে যাত্রী সংখ্যায় কিছুটা ভাটা পড়ে। তাঁর মতে, “আমাদের রেলওয়ের পরিভাষায় জানুয়ারি থেকে মার্চের ১৫ তারিখ সময়টাকে আমরা লিনড সিজন ধরে রাখি। আরেকটা লিনড সিজন হল সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত। মূলত, এই সময়ে পরীক্ষা থাকে। তারপরও আমরা বুকিংয়ের যা ট্রেন্ড দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে সারা বছর হাউসফুল চলবে।”
এদিকে, অনেকে আবার এর পেছনে বেশ কিছু কারণকে তুলে ধরেছেন। মূলত, বন্দে ভারতের সময়সূচি অনুযায়ী, ট্রেনটি সকাল ৫ টা ৫০ মিনিটে হাওড়া থেকে ছেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে দুপুরে নির্ধারিত গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছে যাবে ট্রেনটি। এমতাবস্থায়, দুপুরে এনজেপি পৌঁছে পাহাড়ে ওঠার মত সময় আর হাতে থাকে না। সেক্ষেত্রে একটা দিন নষ্ট হতে পারে পর্যটকদের।
পাশাপাশি, অন্যান্য অধিকাংশ ট্রেনের সফর সম্পন্ন হয় রাতে। এমতাবস্থায়, রাতের খাবার খেয়ে ট্রেনে উঠে সারা রাত সফর করে একদম সকালে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে যান পর্যটকেরা। সেক্ষেত্রে তাঁদের হাতে সারাটাদিন সময় থেকে যায়। এছাড়াও, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বন্দে ভারত সেমি হাইস্পিড ট্রেন হলেও অনেকেই মনে করেছেন যে সেই গতি এখনকার ট্র্যাকে উঠবে না। যার জেরে গন্তব্যে পৌঁছতে সাড়ে সাত ঘণ্টা সময় লেগেই যাবে এই ট্রেনের।
অপরদিকে, শতাব্দী এক্সপ্রেসই সাড়ে ৮ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যায় ওই একই গন্তব্যে। সেক্ষেত্রে ভাড়াও অনেকটাই কম লাগে। এমতাবস্থায় ট্যুর অপারেটদের মতে, কোনো নতুন কিছু বাজারে এলে তাকে একটু সময় দিতে হয়। সেটা কিছুদিন সঠিকভাবে পরিষেবা প্রদানের পরেই তা নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়ে। যদিও, বিশেষজ্ঞদের মতে, সামগ্রিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপরিউক্ত ঘটনাগুলি অবশ্যই রেলকে ভাবাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।