বাংলা হান্ট ডেস্ক : তিনি নওশাদ সিদ্দিকী (Nawsad Siddique)। এক ভিন্ন ধাঁচের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নওশাদের একটি ভিডিও। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সিএএ (CAA) এবং এনআরসি (NRC) কে নিয়ে বিস্ফোরক ভাষণ দিচ্ছেন তিনি। এরই সঙ্গে নওশাদ প্রশ্ন করেছেন, ‘আমাকে কি কেউ দেখাতে পারবেন সিএএ-তে কোথাও বলা হয়েছে যে ভারতীয় মুসলিমদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে?’
সিএএ এবং এনআরসি-এর বিরুদ্ধে একটা সময় উত্তাল ছিল গোটা দেশ। অধিকাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ভারত সরকারের এই আইনের বিরোধিতা করেছিলেন। আগুন জ্বলেছিল বাংলাতেও। টানা তিন দিন ধরে দেখানো হয় বিক্ষোভ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য জনসভ থেকে ‘ক্যা ক্যা ছিঃ ছিঃ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন সিএএ-কে। কিন্তু সম্পূর্ণ উলটো পথে হেঁটে নওসাদ সিদ্দিকী এদিন সিএএ নিয়ে রাজনীতি করায় কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এদিন তিনি বলেন, ‘সিএএ-তে কোথাও কি একথা বলা হয়েছে যে মুসলিমদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে? কেউ দেখাতে পারবেন আমাকে? তাহলে আমরা ভয় কেন পাচ্ছি? আমরা ভয় পাচ্ছি কারণ আমরা ওই আইনের বইটা পড়িনি। লোকসভা এবং রাজ্যসভা থেকে আইন পাশ হয়েছে ইংরেজিতে, তাই আমরা পড়তে পারি নি।’
এর পরই তোপ দাগতে শুরু করেন নওশাদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৌশল করে পড়ার অনুপযুক্ত করে রাখা হয়েছে। সিএএ করে আমাদের তাড়িয়ে দেবে কি দেবে তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্টিফিকেটের আমার কোনও দরকার নেই। সিএএ-এর আইনটা খুলে দেখে নিলেই সমস্যা মিটে যাবে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছে সিএএ-তে কোথাও ভারতীয় মুসলিমকে তাড়াবে এই বলে উল্লেখ নেই। কিন্তু আমাদেরকে ভুল বুঝিয়ে সিএএ-এর ভয় দেখিয়ে ২০২১ সালের ভোটটা চুরি করেছে তৃণমূল। ওদের ভোট চাওয়া আর কোনও বিষয় ছিলই না।’
নওশাদ এদিনের আরও দাবি করেন যত দিন তিনি বেঁচে আছেন ততদিন তিনি সিএএকে আটকাবেন, কিন্তু সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তিতে নয়। তিনি দাবি করেন, ‘সিএএ হলে প্রত্যেকের বাড়িতে ১০০ বছরের পুরনো দলিল আছে সেই দলিল দেখানে। নিজের পূর্ব পুরুষদের কবর থেকে শরীরের অংশ নিয়ে পরীক্ষা করতে বলবেন, তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে আমরা ভারতীয় কি ভারতীয় নই!’