বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবাস যোজনা (Awas Yojana) নিয়ে একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে। এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ্যে এল গোঘাটের ২ নম্বর ব্লকের বেঙ্গাই গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা থেকে। গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের পরিবারেই নাকি ৬টি আবাস যোজনার বাড়ি। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত গোটা এলাকা। যাদের এই বাড়ি পাওয়ার কথা তাদের বঞ্চিত করে প্রধানই ৬টা বাড়ি হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, ২০১৮ সালের সার্ভেতে তাঁর পরিবারের নাম উঠেছিল। তবে তিনি এ বিষয়ে সঠিক কিছু জানেন না। কিন্তু এলাকার সাধারণ মানুষের আবাস যোজনায় নাম থাকবে না কেন? সে প্রসঙ্গে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘একটা ত্রিপল পর্যন্ত পঞ্চায়েত থেকে দেয় না। মাটির বাড়ি। ঝড় দুর্যোগে মৃত্যু মাথায় করে দিন কাটে।’ অভিযোগকারীরা আরও জানান, আবাস যোজনার তালিকায় নাম না ওঠার বিষয়ে জানাতে গেলে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁরা তৃণমূল কর্মী হলেও পঞ্চায়েত তাদের বলছে ‘তোমরা বিজেপি করছ’। বলা হচ্ছে, পরের তালিকায় নাম আসবে। যাঁরা ‘দিদির দূত’, তাঁরাও কোনও কিছুই পাত্তা দিচ্ছেন না।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘আমরা যখনই যাচ্ছি, আমাদের তালিকা দেখিয়ে বলছে নাম আছে। পরে দেব। শুধু পরে পরে করে ঠেকিয়ে রেখেছে। পার্টির নেতারাও কিছু দেয় না, প্রশাসনও গ্রাহ্য করে না। আমাদের কিছুই নেই। যখন সিপিএম ছিল তখন ৩ কাঠা জায়গা দিয়েছিল। সেইটুকুই। আমার দুই ছেলে, দুই বৌমা, তিনটে নাতি। আমরা ওই ভাঙা ঘরে আছি। আমরা যদি মরে যাই পার্টির লোক এসে শ্মশানযাত্রা করবে।’
এই প্রসঙ্গে, বেঙ্গাই গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান মেনকা মালিক বলেন, ‘প্রভাব খাটিয়ে যদি ৬টা ঘর করতে পারতাম তা হলে তো অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যাঁরা ঘর পাওয়ার যোগ্য, তাঁদেরও দিতাম। ২০১৮ সালে যা সার্ভে হয়েছে, সেইমতোই ঘর এসেছে। এখানে প্রধান, জনপ্রতিনিধি কারও কোনও হাত নেই।’
গোঘাট-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরুণ কেওড়্যা বলেন, “এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। এখন ২-৩ জনের পরিবার। খোঁজ নিয়ে আমি দেখেছি ওরা ৬টা পরিবার। আমি বিডিওকেও এ নিয়ে বলি। উনিও আমাকে বলেছিলেন, ৬টা পরিবার। সকলেই পাওয়ার যোগ্য। আমার প্রশ্ন, যাঁর সত্যি বাড়ি নেই। প্রধান হওয়ার জন্য কি তিনি বাড়িও পাবেন না? তবে হ্যাঁ যেহেতু জ্ঞাতি সকলে, তাই এটা ধাপে ধাপে হলেই ভাল হতো।’