বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election), এখন জেলায় জেলায় শাসক দলের প্রচার তুঙ্গে। রমরমিয়ে চলছে ভোটের প্রচার। তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) অনুষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছেন দিদির প্রতিনিধি দল এবং মানুষের সাথে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা এবং অসুবিধে নিয়ে কথা বলে নিচ্ছেন। পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলও নিজের মতো করে তাঁদের দলের প্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন বিরোধী দল।
এই আলোচনা করতে গিয়েই বেরিয়ে এলো ১০০ দিনের জন্য দেওয়া ৫ কোটি টাকা চুরির ঘটনা। এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Maldah) গাজলের দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেখানে যখন মালদহ জেলাশাসক গ্রামের মানুষের সাথে কথা বলতে যান গ্রামের লোকেরা তাঁকে জানান এবং লিখিত অভিযোগ জমা করেন। তাঁদের দাবী এই যে, গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান হলেন শাসক দলের কর্মী রিজিয়া সুলতানা। কিন্তু যতবারই তাঁকে ফোন করা হয় তাঁর ফোন বন্ধ পায়।
গ্রামের মানুষ অভিযোগ করেন যে, যখন ১০০ দিনের কাজ রাজ্য সরকার গ্রহণ করে যে তখন তাঁদের শাসক দলের নির্দেশ অনুযায়ী বেশ কিছু চাষ করতে বলা হয়, যার মধ্যে ছিল ড্রাগন ফল চাষ, কলাগাছ চাষ, পোল্ট্রি শেড নির্মাণ প্রভৃতি। কিন্তু গ্রাম প্রধান গ্রামে কোনো ১০০ দিনের কাজ তো শুরু করেননি, উপরন্তু সেই প্রকল্পের জন্য যত টাকা দেওয়া হয়েছিল সব টাকা দিয়ে নিজের পকেট ভরেছেন তিনি। তাঁরা আরও জানান যে, গ্রাম পঞ্চায়েতের এই কার্যকলাপের সাথে গ্রামের বেশ কিছু মানুষ যুক্ত আছেন।
এইসব শোনার পর জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া বলেছেন যে এই বিষয়ে তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত শুরু করতে চলেছেন। আর এই নিয়েই বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিভিন্ন জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন যে, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন গ্রামগুলি এইভাবেই কিনে রেখেছে শাসক দল। এবং এইভাবেই ভালোই লোক ঠকাচ্ছেন তাঁরা। মানুষের ক্ষতি করে, তাঁদের টাকা আত্মসাৎ করে সব সময়েই তাঁরা নিজের আখের গোছান। তাই দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিৎ।