বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্পষ্ট কথা বলতে কখনোই পিছু হটেন না লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। দরকার পড়লে স্বধর্মের বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। খোলা গলায় হিন্দু ধর্মের প্রশংসা করে নিজ ধর্মের পিছিয়ে পড়া ধ্যানধারণার প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। পরিবর্তে ধেয়ে এসেছে নিন্দা, দেওয়া হয়েছে খুনের হুমকি। নিজের দেশ থেকে পর্যন্ত বিতাড়িত হয়েছেন তসলিমা। কিন্তু তাঁর কণ্ঠ বা কলম কোনোটাই রোখা যায়নি।
কিছুদিন আগে পর্যন্তও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তসলিমা। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর উপর থেকে তাঁর নজর সরেনি। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা বিগত কয়েক দিন ধরে গোটা বিশ্বের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে কয়েক হাজার। বিষয়টা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন তসলিমা। তবে তাঁর বক্তব্য দেখে হতবাক নেটিজেনরা।
তসলিমা লিখেছেন, ‘সুইডেনে কোরান পোড়ানো হয়েছে, আল্লাহর শাস্তি দেওয়ার কথা বিধর্মী নাস্তিকের দেশ সুইডেনকে। তা না করে তিনি শাস্তি দিলেন তুরস্ক আর সিরিয়ার মুসলমানদের। মুসলমানদের ভাষায় ওদের ওপর ”আল্লাহর গজব” পড়লো। মুসলমানদের দুর্ভোগে দুর্যোগে কারা সবেচেয়ে বেশি সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে? কাফের দেশগুলো। কাফেররাই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। মুসলমানেরা তা ভালো জানে। সে কারণেই মুসলমানেরা মুসলমানের সঙ্গে মারামারি করে বিধ্বস্ত হয়ে ছলে বলে কৌশলে মুসলমানের দেশে নয়, বরং কাফেরের দেশে পাড়ি দেয়।’
এখানেই থামেননি লেখিকা। শ্লেষ মিশিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘মুসলমানদের চোখে যে কোনও সুস্থ সচেতন মুক্তবুদ্ধির মানুষই কাফের। শুধু তাই নয়— বিজ্ঞান কাফের। ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব কাফের। টেকটোনিক প্লেটসগুলোও কাফের।’
এমন মন্তব্য অবশ্য নতুন নয় তসলিমার কাছে। এর আগেও এমন বিতর্কিত মন্তব্য তিনি করেছেন। পালটা জুটেছে ধিক্কার। কিন্তু দমানো যায়নি তসলিমাকে। সোজাসাপটা কথাই বলে এসেছেন তিনি বরাবর।