বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের (Petrol-Diesel Price) দাম নিয়ে সবাই চিন্তিত। এমতাবস্থায়, জ্বালানির মাত্রাতিরিক্ত দামের জেরে বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। যদিও, আগামী দিনে এই দাম থেকে বড়সড় স্বস্তি পেতে পারেন আমজনতা।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ভুট্টা ও তেলের ওপর কর কমাতে পারে। এমতাবস্থায়, সরকার এটা করলে পেট্রোল ও ডিজেলের দামও কমে যাবে। এই প্রসঙ্গে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দেওয়া সুপারিশ অনুযায়ী সরকার এই পদক্ষেপ নিতে পারে।
ফেব্রুয়ারির মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যানের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: ইতিমধ্যেই প্রাপ্ত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, ফেব্রুয়ারি মাসের সিপিআই ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যানের পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে IIFL-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুজ গুপ্তের মতে, সরকার আবগারি শুল্ক (এক্সাইজ ডিউটি) ৭ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কম করতে পারে। এর ফলে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৫ থেকে ৭ টাকা কমতে পারে। পাশাপাশি, অনুজ গুপ্ত আরও বলেন যে, ওএমসিগুলি সরকার কর্তৃক আবগারি শুল্ক কতটা কমিয়ে গ্রাহকদের দেবে তার ওপরেও পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম সস্তা হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে।
এর আগে শুল্ক কত কমানো হয়েছিল: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে ২০২২-এর ২১ মে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পেট্রোলের ক্ষেত্রে ৮ টাকা এবং ডিজেলের উপর প্রতি লিটারে ৬ টাকা করে আবগারি শুল্ক কমিয়েছিলেন। এর ফলে দেশে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ৯.৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৭ টাকা হ্রাস পায়।
এদিকে, দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার গত জানুয়ারিতে ৬.৫২ শতাংশে পৌঁছেছে। যা তিন মাসের মধ্যে রেকর্ড তৈরি করেছে। আর এই কারণেই ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের তরফে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, জানুয়ারির সিপিআই ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যানের পরে, এপ্রিলে রেপো রেট আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য যে, জানুয়ারি মাসের খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান RBI দ্বারা নির্ধারিত ৬ শতাংশের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের অক্টোবর মাসের পর এই প্রথম এটি RBI-এর উর্ধ্বসীমা অতিক্রম করেছে।