বাংলাহান্ট ডেস্ক : এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ। শাসক দল এবং বিরোধীপক্ষ দুই শিবিরের মধ্যে জোরদার টক্কর ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার মুখোমুখি সংঘাতে নেমে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (All India Trinamool Congress) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির (Bharatiya Janata Party) নিশীথ প্রামানিক (Nishith Pramanik)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশেই ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে নিশীথের ‘বাড়ি ঘেরাও’য়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু হতেই পাল্টা সুর চড়িয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাড়ি ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, “ভবিষ্যতে অভিষেকের বাড়িও ঘেরাও করা হতে পারে।” রাজ্যের শাসকদলের এই কর্মসূচি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সুকান্ত মজুমদারের কথায়, এভাবে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির বাড়ি ঘেরাও মেনে নেওয়া যায় না।
এদিকে, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের বাড়ি ঘেরাওয়ের বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার মুখ খুলতেই কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “বিজেপির মুখে এধরনের ব্যক্তি আক্রমণের কথা মানায় না। ওরা তো বলে-বলে, তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই-ইডি পাঠাচ্ছে।” পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন “ভুলেও বাড়াবাড়ি করলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটা রাখবেন। আমরাই বিনামূল্য চিকিৎসাটা করিয়ে দেব।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোচবিহারের রাজবংশী যুবক প্রেমকুমার বর্মন বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। তারই প্রতিবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দেন। এরপর প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করতে পারেননি কিন্তু তারা কোচবিহারের ভেটাগুড়়ির চৌপট্টিতে অবস্থান মঞ্চে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে শাসক ও বিরোধীদের বাকযুদ্ধের কারণে এবার শুরু হল রাজনৈতিক চাপানউতোর।