বাংলাহান্ট ডেস্ক : একাকীত্ব গ্রাস করেছিল এক মাঝ বয়সী ব্যক্তিকে। ছিল না স্ত্রী, সন্তান বা বান্ধবী। নিজের জীবনটাকে উপভোগ করতে একটু অন্য পথ বেছে নিয়েছিলেন সেই প্রৌঢ়। বিভিন্ন ম্যাগাজিন এই মাঝবয়সী ব্যক্তিকে একাকীত্ব জীবনে দিত হালকা বসন্তের ছোঁয়া। সেইসব রংচঙে ম্যাগাজিনের ছবি দেখে আর গল্প পড়ে সময় কাটতো মাঝবয়সী ব্যক্তির।
জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তির নাম জোজি। ৫০ বছর বয়সী জোজি ছিলেন জাপানের (Japan) বাসিন্দা। তিনি কাজ করতেন একটি গাড়ি তৈরির কারখানায়। তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে ২০১৭ সালে। তবে তার মৃত্যু যতটা না হতবাক করেছিল সকলকে তার থেকে বেশি হতবাক করেছিল তার মৃত্যুর কারণটি। এই মাঝবয়সী ব্যক্তি যেসব ম্যাগাজিন পড়তে পছন্দ করতেন সেগুলি আর পাঁচটা কোন সাধারণ ম্যাগাজিনের মত ছিল না।
এগুলি ছিল পর্নোগ্রাফি ম্যাগাজিন (Pornography Magazine)। দুষ্টু ছবি ও গল্পে ভরা থাকতো এইসব যৌন পত্রিকার পাতা। জোজি সারাদিন মগ্ন থাকতেন এইসব পত্রিকার মধ্যেই। এইসব পত্রিকায় আসলে প্রাণ কেড়েছিল জোজির। স্তূপীকৃত যৌন পত্রিকার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছিল তার মৃতদেহ। দীর্ঘদিন ভাড়া না দেওয়ায় বাড়ির মালিক তার খোঁজ নিতে আসেন। সেই সময় তিনি আবিষ্কার করেন ঘর ভর্তি অসংখ্য পর্ণ ম্যাগাজিন। আর ঘর থেকে বের হচ্ছিল কটূ গন্ধ।
এরপর পর্নোগ্রাফি ম্যাগাজিনের স্তূপের মধ্যে থেকে এই ব্যক্তির মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার করেন সাফাই কর্মী। পুলিশ অনুসন্ধান করে জানতে পারে এই জোজির মৃত্যু হয়েছে অন্তত একমাস আগেই। অনেকের দাবি, এই পর্নোগ্রাফি ম্যাগাজিনের স্তুপ ঘাড়ে এসে আচমকা পড়েছিল জোজির। বইয়ের ভার সহ্য করতে না পেরে ওই প্রৌঢ় আক্রান্ত হন হৃদরোগে। এরপর তিনি ঢোলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।
বাড়িতে কেউ না থাকায় সে মৃত্যুর খবর কেউ জানতে পারেনি এক মাস পর্যন্ত। জোজির মৃতদেহের উপর চেপে থাকা ম্যাগাজিনগুলি ওজন করে দেখা হয়েছিল পরে। ওই ব্যক্তির উপর প্রায় ছয় টন ওজনের পর্নোগ্রাফি পত্রিকা চাপা পড়েছিল। ওই সাফাই কর্মী জানান রান্নাঘর, শোয়ার ঘর এমনকি শৌচালয় থেকেও উদ্ধার করা হয়েছিল পর্নোগ্রাফি ম্যাগাজিন।