বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত বছর একটি নাম নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল সর্বত্র। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ এই অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাশিকৃত নোট, মূল্যবান নথি, গয়না। ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ দেখে কুবেরের ধন আখ্যা দিয়েছিলেন আমজনতা। কিন্তু হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Haimanti Ganguly) সম্পত্তি টেক্কা দেবে ‘অপা’কেও।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এখন সব চোখ হৈমন্তীর দিকেই। কুন্তল ঘোষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তী। অর্পিতার মতো তিনিও টলিপাড়ার উঠতি মডেল অভিনেত্রী। কিন্তু অর্পিতার তুলনায় হৈমন্তীর সম্পত্তির পরিমাণ বহুগুণে বেশি।
প্রাথমিক তদন্ত এবং অনুমান বলছে, অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালকিন হৈমন্তী। প্রায় গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাঁর সম্পত্তি। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিভিন্ন জেলায় নামে এবং বেনামে প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে গোপাল হৈমন্তীর। বীরভূমে তাঁদের নামে হোটেল, গেস্ট হাউসও রয়েছে বলে খবর।
এছাড়াও একাধিক ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জেলায় বাড়ি সহ মুম্বইয়ে অফিসও রয়েছে হৈমন্তীর। গোপাল দলপতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নমিনি হৈমন্তী বলে দাবি সূত্রের। এদিকে গোপাল দলপতির দাবি, তাঁদের নাকি আর সম্পর্ক নেই। বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তাঁরা। অন্যদিকে হৈমন্তীর মা জানিয়েছেন, মেয়ে আগে চাকরি করত। তারপর ব্যবসা, তারপর অভিনয়ে ঢুকে কোনোমতে পেট চালাত।
তবে এত বাড়ি, জমি, সম্পত্তি পেলেন কীভাবে হৈমন্তী? তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, গোপালের সঙ্গে বিয়ের পরেই নাকি ফুলেফেঁপে ওঠেন হৈমন্তী। যদিও সবটাই এখনো প্রাথমিক তদন্ত এবং অনুমানের উপরে রয়েছে। কারণ ‘রহস্যময়ী’ এখনো অধরা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, হৈমন্তী কলকাতাতেই রয়েছেন। আপাতত চলছে তাঁরই খোঁজ।