বাংলা হান্ট ডেস্ক : কর্ণাটক (Karnataka) নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে বিজেপি (BJP)। দক্ষিণ ভারতের ক্ষমতা পাওয়ার পরও শান্তি নেই গেরুয়া শিবিরে। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সরিয়ে দিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদিয়ুরাপ্পাকে। তাঁর জায়গায় সিংহাসনে বসেছেন বাসবরাজ বোম্বাই। তাতেও নিস্তার নেই। বোম্বাইয়ের নামও জড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতির কালো পাঁকে। এই অবস্থায় ত্রাতা হিসাবে হাজির সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর চলতি ৩ বার কর্ণাটক সফর করবেন নমো। চলতি বছরে মোট ৫বার কর্ণাটকে যাবেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই সফরগুলিতে কর্ণাটকের মানুষকে বোঝাবেন কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র দেশের জন্য কতটা খারাপ। নির্বাচনের ঘোষণার আগেই ৩ বার কর্ণাটকে হাজির হবেন মোদি। ১২ মার্চ সফরে গিয়ে বেঙ্গালুরু-মাইসোর জাতীয় সড়কের উদ্বোধন করবেন মোদি।
জানা যাচ্ছে, ১২ মার্চ বেঙ্গালুরু-মাইসোর জাতীয় সড়কের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানপ ২ কিমি মোদির রোড শোর আয়োজন করা হবে। এছাড়া ২৫ মার্চ শেষ হবে বিজয় সংকল্প যাত্রা। এই দিনও থাকবে বিশেষ অনুষ্ঠান। এছাড়া ভগবান বজরংবলীর জন্মস্থান অঞ্জনাদ্রী পর্বতে কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন হবে প্রধানমন্ত্রীর হাতেই।
পাঁচ বছর আগে বিজেপিকে হটিয়ে কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকার গড়েছিল। কিন্তু পরে বিজেপি শাসক জোটের বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গড়ে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘুরে দাঁড়াতে কংগ্রেস নেতৃত্ব কর্নাটকেই বাজি ধরতে চাইছেন। কংগ্রেসের মতে, কর্নাটকের মতো শিল্পোন্নত রাজ্যে সরকার গড়তে পারলে লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো আর্থিক রসদের অভাব হবে না। রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জনমানসের ক্ষোভ কাজে লাগাতে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তাঁদের দাবি, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় কর্নাটকে বিপুল সাড়া মিলেছে।
বিজেপি নেতৃত্বও হাত গুটিয়ে বসে নেই। রাজ্য জুড়ে জনসম্পর্ক যাত্রার পরে এ বার বিজেপি কর্নাটকের দু’প্রান্ত থেকে দু’টি রথযাত্রা শুরু করতে চাইছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ইঙ্গিত দিয়েছেন, যে সব আসনে বিজেপি ভাল অবস্থায় নেই, সেগুলিকে চিহ্নিত করে নজর দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির পক্ষে স্বস্তির কারণ হল, কংগ্রেস ও জেডিএস, দুই দলই এ বার আলাদা ভাবে ভোটে লড়বে। ফলে বিজেপি-বিরোধী ভোট ভাগ হতে পারে। কিন্তু সব কিছুর উপরে বিজেপির সেরা বাজি এখনও নরেন্দ্র মোদি।