বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের তালিবানি ফতোয়। আফগান মহিলাদের প্রতি অবিচারের এবার এক নতুন রূপ দেখল বিশ্ব! তালিবান (Taliban) শাসনে দৈন্য দশা সে দেশের নারী। আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেসব মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে, তাঁরা যেন নিজেদের স্বামীর কাছে ফিরে যান। এই তালিবানি নির্দেশের পরেই প্রাণভয়ে আতঙ্কিত বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলারা।
একদিকে স্বামীর অত্যাচার, অপর দিকে তালিবানি নিষ্ঠুরতা! কোন দিকে যাবেন সে দেশের অসহায় মহিলারা? তালিবান আটকে রয়েছে তালিবানি নিয়মেই। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের সময় তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ৯০-র দশকের মতো শাসনব্যবস্থা ছিল, তা থাকবে না।
আধুনিক সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য মিলিয়েই তারা শরিয়া আইন কার্যকর করবে। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর থেকেই একের পর এক নতুন নিয়ম লাগু করছে তালিবান। কেড়ে নেওয়া হয়েছে মেয়েদের শিক্ষা, চাকরির অধিকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাথমিক শিক্ষার পর ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না। বাড়ি থেকে একা বেরোনো, পছন্দমতো পোশাক পরা ইত্যাদি যাবতীয় অধিকারই কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
এক মহিলার ঘটনা জানা গিয়েছে। বিয়ের পরে বহু বছর ধরে তাঁর স্বামীর অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন স্বামী মেরে ভেঙে দিয়েছেন তাঁর দাঁত, আঙুল! টেনে ছিঁড়ে দিয়েছেন মাথার চুল! ভয়াবহ এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমেরিকার সমর্থন করা আফগানিস্তান সরকার থাকাকালীনই ওই মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। সন্তানদের নিয়ে আলাদা হয়ে যান। কিন্তু আফগানিস্তানে তালিবান শাসন ফিরতেই কম্যান্ডাররা তাঁর ডিভোর্স পেপার ছিঁড়ে দেন। তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রাক্তন স্বামীর কাছেই ফিরতে হবে!
এইরকম নির্দেশ পেয়েছেন বহু আফগান মহিলা। যাঁরা একদা স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতেই বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন। নতুন তালিবান সরকার এমন মহিলাদের তাঁদের প্রাক্তন স্বামীর কাছেই ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।