বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) তাদের কঠিন সময়ে কিছুটা সাহায্য করতে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু সেই রাশিয়াকেই (Russia) ধোকা দিতে চলেছে পাকিস্তান। সেই খবর পেয়ে পাকিস্তানের উপর বেজায় চটেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আসলে অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেরোতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, ইউক্রেনকে অস্ত্র বিক্রি করছে পাক সেনা।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে যখন কঠিন খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছিল, তখন তাদের চার লক্ষ টনেরও বেশি আটা সরবরাহ করেছিল রাশিয়া। সেই তাদেরই এ বার ধোকা দিতে চলেছে পাকিস্তান। সকলের আশঙ্কা, এই ঘটনার ফলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেন ভ্লাদিমির পুতিন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাকিস্তানের ধোকা দেওয়ার এই ছবি উঠে এসেছে।
Pakistan made 122mm shells spotted in Ukraine. Reportedly Pakistan ready to transfer 44 T-80UD tanks to Ukraine in exchange of western financial support.
Meanwhile as per TG channel, Russia unhappy with Pakistan help to Ukraine, asks China to talk sense to its friend. pic.twitter.com/7v63g6JNav
— Megh Updates 🚨™ (@MeghUpdates) March 10, 2023
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে ইউক্রেনের সেনা বাহিনীর একটি ট্যাঙ্ক ব্যবহার করছে। যা তাদের সরবরাহ করেছে পাক সেনাবাহিনী। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান পশ্চিমি দেশগুলির আর্থিক সাহায্যের বিনিময়ে ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে ইউক্রেনের থেকে এই ট্যাঙ্কগুলি কিনেছিল পাক সেনা।
আজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে উভয় দেশের থেকেই সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। গত বছর জুলাই থেকে ব্রিটেনের এয়ারব্রিজের মাধ্যমে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করছে তারা। এছাড়াও পোল্যান্ড ও জার্মানির বন্দরগুলির সাহায্যেও ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়েছে পাক সেনা। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। তাদের দিকে ওঠা প্রশ্নের উত্তরে পাকিস্তান জানিয়েছে যে দু’দেশের যুদ্ধে কোনওভাবেই নাক গলাচ্ছে না তারা।
যদিও রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করছে পাক সেনা। এক দিকে রাশিয়ার থেকে সুবিধা নেওয়া, অন্যদিকে তাদেরই বিরোধী দেশকে অস্ত্র দেওয়া। পাকিস্তানবের এই পদক্ষেপকে মোটেও ভালভাবে নিচ্ছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি চিনের মাধ্যমে পাকিস্তানকে বোঝাতে চাইছেন যাতে তারা ইউক্রেনের সমর্থনে বাকি পশ্চিমি দেশগুলির সঙ্গে যোগ না দেয়।