‘সব সময় অভিনেতারা জেনে সব করেন তেমন তো নয়’, দুর্নীতিতে টলি যোগ মিলতেই সাফাই শতাব্দীর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। নেতা থেকে অভিনেতা নাম জড়িয়েছে অনেকেরই। শিক্ষক কেলেঙ্কারিতে বিনোদন জগতের দিকে নজর পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সম্প্রতি নাম জড়িয়েছে প্রথম শ্রেণীর টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর। এসব নিয়েই যখন তোলপাড় রাজ্য সেই সময়ই টলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)।

বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী থেকে পা রেখেছিলেন রাজনীতিতে। বহুদিন আগেই অভিনয়ের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে পুরো ধ্যান-জ্ঞান দিয়ে রাজনীতিতেই মত্ত শতাব্দী রায়। বিনোদন জগৎ নিয়ে খুব একটা কথাও বলতে দেখা যায়না তাকে। তবে সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে টলিপাড়ার বেশ কিছু নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম উঠে আসাতে এবার মুখ খুললেন নেত্রী।

   

ঠিক কী বললেন শতাব্দী? শনিবার নলহাটির বুজুং গ্রামে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha kabach) কর্মসূচিতে গিয়ে দুর্নীতি কাণ্ডে টলিউড শিল্পীদের হয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। বলেন, ‘‘সব সময় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা জেনে সব করেন তেমন তো নয়। কেউ তো আর স্থানীয় এসপি বা বিডিও-র সার্টিফিকেট দেখে কারও সঙ্গে মেলামেশা করেন না। তবে যতটা ঝামেলা এড়িয়ে চলা যায় ততই ভাল। এটা একটা পেশা, তাকে পেশাগতভাবেই নিতে হবে।’’

এখানেই শেষ নয়, এরপর অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, ‘‘যারা টিভি চ্যানেলে বসে অভিনেতা অভিনেত্রীদের বড় বড় জ্ঞান দেয় তাদের জিজ্ঞাসা করি, একটি ছবিতে কেউ সই করলে তার প্রোডিউসারের ইনকাম সার্টিফিকেট দেখেন নাকি? কোথা থেকে ইনকাম করে তিনি ছবি করছেন দেখেন? নাকি সেটা দেখা আমাদের কাজ? সাধারণত প্রোডিউসার কী করেন এটা জানা হয়। তারপরেই কাজ শুরু হয়। প্রমাণ দিয়ে, আধার কার্ড দিয়ে, পাড়ায় মুদির দোকানে তার ধার আছে কিনা, সেসব জেনে কেউ ছবিতে কাজ শুরু করে না।অনেক সময় কোনও অভিযোগ থাকলে তখনই জানা যায় না। পরে জানা যায়।’’

এরপর টলিউডে অবৈধ টাকার বিনিয়োগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠলে শতাব্দী বলেন, ‘‘কেউ তো মাইনের টাকা বাঁচিয়ে ছবি করতে আসে না। হলিউড, বলিউড, টলিউডে একটাই নিয়ম। ব্যবসার টাকা লাভের আশায় বিনিয়োগ হয়। যাদের কাছে বেশি টাকা আছে তারাই ছবি করতে আসে।’’

satabdi roy mp

নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘এমন নয় যে বলব সাবধানে চলো। সে কথা বলার মানে নেই। সে তার নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠানে যাবে না। সেখানে গিয়ে কারও সঙ্গে ছবি তুলবে না। সেখানে গিয়ে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব হলে তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ করলে যাবে না। এসব ভেবে চললে তো ঠগ বাছতে গাঁ উজার হয়ে যাবে। অভিনয় একটা পেশা। ভাল লোকের সঙ্গে তার যোগাযোগ রাখতে হবে।’’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর