বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সমর্থকদের আইএসএল জয়ের রাতে আরও বড় খুশির খবর দিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। অফিসিয়াল ঘোষণা করে জানিয়ে দেওয়া হলো সবুজ মেরুন সমর্থকদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করে তুলে দেওয়া হল এটিকে নাম। পরের মরশুম থেকে শুধুমাত্র মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস নাম নিয়ে খেলবে সবুজ মেরুণ শিবির। আইএসএল ফাইনাল জয় এর চেয়েও বড় উপহার বোধহয় এটাই হয়ে গেল সবুজ মেরুন ভক্তদের জন্য।
এই জয়কে মোহনবাগান সমর্থকদের জয় হিসাবে দেখছেন অনেকেই। সমর্থকদের একটি বড় অংশ এটিকে মোহনবাগান নাম থেকে এটিকে কথাটি রিমুভ করার জন্য অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন। সেই আন্দোলনের যোগ্য মর্যাদা পাওয়া গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে এর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সকলে।
আজ ফাইনালে প্রথমার্ধ থেকেই খেলা জমে উঠেছিল। খেলার একদম শুরু থেকেই ফাউল, পাল্টা ফাউলে ম্যাচের উত্তাপের আঁচটা টের পাওয়া যাচ্ছিল। এরই মধ্যে ম্যাচের ১৩ মিনিটে প্রাক্তন এটিকে মোহনবাগান ফুটবলার রয় কৃষ্ণা বক্সের ভেতরে বল হাতে লাগালে পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান। গোল করতে ভুল করেননি দিমিত্রি পেট্রাটোস। এরপর খেলা আরো জমে ওঠে। হাভিয়ার হার্নান্দেজের ফ্রি কিক দুর্দান্তভাবে বাঁচান এটিকে গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। বেশ কয়েকটি হলুদ কার্ড দেখতে হয় বেঙ্গালুরুকে আগ্রাসী ফুটবল খেলার জন্য।
শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে রয় কৃষ্ণাকে ফাউল করে ফেলেন বাগান ডিফেন্ডার শুভাশিস। পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোল করে সমতা ফেরাতে ভুল করেননি ব্যাঙ্গালুরু এফসি অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী যিনি মাত্র ৪ মিনিটেই মাঠে এসেছিলেন শিবশক্তির ম্যাচের মাঝে পাওয়া চোটের কারণে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের একবার এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন পেট্রাটোস। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি নষ্ট করেছিলেন। উল্টে ম্যাচের ৭৮ মিনিট নাগাদ দুর্দান্ত হেডারে নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করে যান রয় কৃষ্ণা। এরপর সকলে যখন ভাবছেন যে ম্যাচ শেষ এবং বেঙ্গালুরু ট্রফি ঘরে তুলতে চলেছে তখন ফের একবার চমক। বক্সের বাইরে হওয়া একটি ফাউল থেকে মোহনবাগানকে পেনাল্টি দেন রেফারি। নিজের এবং দলের তৃতীয় গোল করে ৮৫ মিনিটে হাড়ের নিশ্চিত গ্রাস থেকে এটিকে মোহনবাগানকে বাঁচিয়ে আনেন সেই পেট্রাটোস।
এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময় অবধি। সেখানেও তৈরি হতে থাকে একের পর এক সুযোগ। বিশেষ করে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের একদম শুরুতে দুর্দান্ত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন রয় কৃষ্ণা। এর কিছুক্ষণ পর ম্যাচে বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করা মনবীর ফের একবার হেড করে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ হারান। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে মারাত্মক ভুল করে এটিকে মোহনবাগানকে প্রায় ম্যাচ উপহার দিয়ে ফেলেছিলেন গুরপ্রীত। কিন্তু শেষপর্যন্ত খেলা গড়ায় টাইব্রেকার অবধি।
টাইব্রেকারে ব্রুনো এডগার্ড রামিরেজের পেনাল্টি দুর্দান্তভাবে বাঁচান এটিকে মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। ম্যাচের ভাগ্য ওখানে নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। এরপর আর একটিও পেনাল্টি মিস করেননি এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা। দুটো পেনাল্টি বাঁচিয়ে আবারও নায়ক বিশাল।