বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বর্তমান যুগে ক্রিকেটে ফিটনেসের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি বেড়ে গিয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটাররাও শারীরিক সক্ষমতার ব্যাপারটিকে অত্যন্ত বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়া, ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলিতে একটি নির্দিষ্ট ফিটনেসের গন্ডি ছুঁতে না পারলে দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও দলের বাইরে বসে থাকতে হয় ক্রিকেটারকে।
কিন্তু এই প্রজন্মই রয়েছেন এমন কিছু ক্রিকেটার যারা শারীরিকভাবে বাকিদের মতন পুরোপুরি সুস্থ নন। কারোর হাতের বা পায়ের সবকটি আঙ্গুল নেই, কেউ বা কানেই ঠিকঠাক শুনতে পান না। তা সত্ত্বেও তারা নিরো নিশো দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন। আজ এমন ৩ ক্রিকেটারকে নিয়েই রচিত হলো এই প্রতিবেদন।
প্যাট কামিন্স (Pat Cummins): বর্তমান যুগে অস্ট্রেলিয়ার সেরা পেসারদের মধ্যে একজন। নিজের যোগ্যতার কারণে টেস্ট ও ওডিআই ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্বের দায়িত্বও অর্জন করে ফেলেছেন। যদিও বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়া দলের অংশ নন কারণ তার মা মারা গিয়েছেন এবং তিনি পরিবারের সাথেই সময় কাটাচ্ছেন। অনেকেই জানেন না যে ছোটবেলা থেকেই একটি ঘরোয়া দুর্ঘটনার কারণে তার মধ্যমা অত্যন্ত ছোট, তার উচ্চতার বাকি মানুষদের থেকে। তিন বছর বয়সে তার বোন অসাবধানতাবশত ঘরের দরজা এমন ভাবে বন্ধ করেছিলেন যেখানে তার ভাইয়ের আঙুলের কিছুটা কেটে বাদ যায়।
ওয়াশিংটন সুন্দর (Washington Sundar): এখনো ভারতীয় দলে নিয়মিত হয়ে উঠতে পারেননি কিন্তু সেই পথেই রয়েছেন। আইপিএলে বোলিং এবং ব্যাটিং দিয়ে নিজের দলকে বেশ কয়েকবার ম্যাচ জিতিয়েছেন সুন্দর। ভারতের হয়ে তিনটি ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলা এই তারকা ক্রিকেটার ছোটবেলা থেকেই কানে একটু কম শোনেন। শুধুমাত্র একটি কানেই শুনতে পান তিনি। দুর্ভাগ্যবশত এই রোগের কোন নিরাময় নেই।
মার্টিন গাপ্টিল (Martin Guptill): নিউজিল্যান্ডের এই তারকা ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের সঙ্গে পাল্লা দেন। ওডিআই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরের রেকর্ডটি রয়েছে তার নামের পাশেই। কিন্তু এই কিউয়ি ওপেনারের বাঁ পায়ের তিনটি আঙ্গুল নেই। ছোটবেলায় একটি ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ওই আঙুলগুলি হারিয়েছিলেন তিনি।